আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

প্রেমিকার নানবাড়ি প্রেমিকের ঝুলন্ত লাশ! হত্যার অভিযোগ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৯-২৪ ২১:৫৫:০৬

সিলেটভিউ ডেস্ক :: লক্ষ্মীপুরে প্রেম সংক্রান্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাবেদ হোসেন নামে এক কলেজছাত্রকে ফোনে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে নিহতের মরদেহ ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজানোর দাবি নিহতের স্বজনদের। বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার বিজয়নগর গ্রামে প্রেমিকার নানার বাড়ি (ইন্দ্র পন্ডিত বাড়ি) থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত ছাত্র জাবেদ একই ইউনিয়নের হাসন্দী গ্রামের শরীফ উল্যার ছেলে। সে লক্ষ্মীপুর দালাল বাজার ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল।

নিহতের স্বজনরা জানায়, সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের পূর্ব হাসন্দি গ্রামের মো. সেলিমের মেয়ের সঙ্গে জাবেদের দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয় মেয়ের পরিবারের লোকজন। এক পর্যায়ে তারা পালিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি টের পেয়ে মেয়ের ভাই ফরহাদ হোসেন, রুবেল ও লিটনসহ কয়েকজন কৌশলে ফোনে জাবেদকে মেয়ের নানার বাড়িতে ডেকে নেয়। একপর্যায়ে তারা পিটিয়ে জাবেদকে হত্যা করে। পরে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মরদেহটি ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়।

নিহতের বাবা শরীফ উল্যা বলেন, আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে তার লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচারণা চালানো হয়। এ ঘটনায় আমি সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।  

অভিযোগ অস্বীকার করে ফরহাদ হোসেন ও রুবেল জানায়, পালিয়ে যাওয়ার জন্য দুজন বিজয়নগর মেয়ের নানার বাড়িতে একত্রিত হয়। কিন্তু মেয়ে পালাতে রাজি না হওয়ায় ক্ষোভে বসত ঘরের দরজা লাগিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে জাবেদ আত্মহত্যা করে। ঘটনার সাথে তারা কেউই জড়িত নয়।

এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোছলেহ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে হত্যা না আত্মহত্যা বিষয়টি এখনই নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  



সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০/ কালের কণ্ঠ / জিএসি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন