আজ বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪ ইং

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘ব্যবহারিক ক্লাসে’র রেকর্ড এখন বাংলাদেশের

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-০১-১১ ১৪:২০:৩৪

বিশ্ব রেকর্ড গড়া ব্যবহারিক ক্লাস নিচ্ছেন জাফর ইকবাল। ছবি কৃতজ্ঞতা: শফি আহমদ, ফটো জার্নালিস্ট, চ্যানেল২৪।

সিলেটভিউ ডেস্ক :: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার ব্যবহারিক ক্লাসে শিক্ষার্থী উপস্থিতির সংখ্যার দিক থেকে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। কিশোরগঞ্জের কুলিয়ার চর থানার মাঠে ২৪৬ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৭২ ফুট প্রস্থের এই অস্থায়ী ক্লাসরুম ১০ ফুট উচ্চতার সাদা কাপড়ে ঘিরে সেখানে বসানো হয় ২১টি এলইডি স্ক্রিন।

৩২০০ ছাত্রছাত্রীর প্রতি দুইজনকে নিয়ে এক একটি গ্রুপ করে বসার ব্যবস্থা সাজানো হয়। দুই পর্বের আয়োজনের প্রথম পর্বে ছিল দেড় ঘণ্টার ব্যবহারিক ক্লাস; দ্বিতীয় পর্বে আলোচনা সভা। এই বিশেষ ক্লাস নেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও জনপ্রীয় লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল।

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলা প্রশাসন আশা করছে, বিজ্ঞান ও আইসিটি বিষয়ক ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যবহারিক ক্লাস’ হিসেবে এই আয়োজনের কথা লেখা হবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে।

কুলিয়ারচরের ইউএনও উর্মি বিনতে সালাম জানান, পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে বুধবার বেলা ১১টায় এই ক্লাস শুরু করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল।

ক্লাস পরিচালনায় তাকে সহায়তা করেন কুলিয়ারচর উপজেলার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের বিজ্ঞান ও আইসিটি বিষয়ের ৮০ জন শিক্ষক।    

ক্লাসে অংশ নেওয়া শিশু-কিশোরদের উৎসাহ দিতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ‌্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও ভৈরব-কুলিয়ারচরের সাংসদ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

ক্লাসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সব শিক্ষার্থীর হাতে যখন অতিথিরা বিজ্ঞানের বই তুলে দিচ্ছিলেন, অনুষ্ঠানে বাজছিল সেই উজ্জয়নী গান- ‘আমরা করব জয় নিশ্চয়’।

অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেন, বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা এখন অনেকেই নানা কারণে বিজ্ঞান পড়তে চাচ্ছে না। আমার মনে হয়, এই ঘটনাটা যখন প্রচার হবে, মানুষ দেখবে, বিজ্ঞানে একটা আগ্রহ তৈরি হবে। এখানে যে বাচ্চারা আছে, আমার ধারণা তারাও ভবিষ‌্যতে বিজ্ঞানে পড়তে আগ্রহী হবে।”

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১২ আগস্ট এই রেকর্ডটি করেছে অস্ট্রেলিয়া। সেখানে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা মিলিয়ে মোট দুই হাজার ৮৯৫ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। অস্ট্রেলিয়ায় পরীক্ষাটি পরিচালনা করেন শিক্ষক এন ব্র্যান্ট। তিনি পেপারক্লিপের সাহায্য শিক্ষার্থীদের সামনে চৌম্বক ক্ষেত্র কেমন করে কাজ করে তা তুলে ধরেন। এর আগের রেকর্ডটি করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে দুই হাজার ১০২ জন শিক্ষার্থী মিলে।

নিউজ কৃতজ্ঞতা: বিডিনিউজ

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১১জানুয়ারি২০১৭/ডেস্ক/এএএন


শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন