আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

আশুলিয়ায় ‘জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ’

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-০৭-১৬ ১৬:৫৪:৪৫

সিলেটভিউ ডেস্ক :: আশুলিয়ায় র‌্যাবের ঘেরাও করে রাখা বাড়ির ভেতর থেকে চার ব্যক্তি বের হয়ে এসেছেন। তারা ‘আত্মসমর্পণ’ করছে বলে দাবি করেছে র‌্যাব। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান জানান, যারা আত্মসমর্পণ করেছে তারা জঙ্গি।

রবিবার (১৬ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে বাড়ির ভেতর থেকে তারা বের হতে শুরু করে। বেলা ১টার মধ্যে পর্যায়ক্রমে চারজনই বের হয়ে আসেন। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকেও বাড়ির পাশ থেকে গুলির শব্দ পাওয়া যায়।

র‌্যাব ৪ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর আবদুল হাকিম বলেন, ‘জঙ্গি আস্তানা থেকে চারজনকেই রক্তপাতহীনভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি সব তথ্য তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জানানো হবে। কোনও বিস্ফোরক আছে কিনা তাও জানানো হবে।’

গ্রেফতার করা চার ব্যক্তি সারোয়ার-তামিম গ্রুপের জঙ্গি বলে জানিয়েছে র‌্যাব। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান জানান, বাড়িটির মালিক ইব্রাহিমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শনিবার মধ্যরাত থেকে এই অভিযান চালানো হয়। বাড়ির ভেতর অবিস্ফোরিত কিছু এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস আছে এবং র‌্যাবের ডগ স্কোয়াড ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ভেতরে কাজ করছে। অভিযান এখনও শেষ হয়নি বলেও জানান তিনি।

রবিবার (১৬ জুলাই) বেলা ২টার দিকে ঘটনাস্থলের পাশে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মুফতি মাহমুদ খান। তিনি জানান, এই আস্তানা থেকে গ্রেফতার হওয়া চার জন হলো- মোজাম্মেল, ইরফানুল, রাশেদুল ও আলমগীর। মোজাম্মেল তাদের দলনেতা।

তিনি জানান, ‘বাড়ির মালিক ইব্রাহিমই জানিয়েছিল, তার বাড়ির ভাড়াটিয়াদের চলাফেরা সন্দেহজনক। সেই তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। শনিবার রাত ১টায় বাড়িটি ঘেরাও করা হয়। রাত ৩টার দিকে জঙ্গিরা র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। তবে র‌্যাব বিভিন্নভাবে তাদের আত্মসমর্পণ করানোর চেষ্টা করে। মাইকিং করে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়। ওয়ার্নিং শট দেওয়া হয়। এই সময় একজন বের হয়ে আসে। সে বের হয়ে জানায় ভেতরে আরও তিনজন আছে। তার মাধ্যমে আলোচনা করে বাকিদের বের করা হয়।’

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, এরা মাসে আড়াই হাজার টাকা ভাড়ায় ও গার্মেন্টকর্মী পরিচয়ে বাসাটি ভাড়া নেয়। তবে ভাড়া নেওয়ার সময় প্রয়োজনীয় কোনও ডকুমেন্ট জমা দেয়নি। পরে জমা দেওয়ার কথা বলে বাসায় ওঠে।

মুফতি মাহমুদ খান আরও বলেন, ‘এপ্রিলের শেষ দিকে তামিম দ্বারীকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় জিজ্ঞাসাবাদে সে বেশ কিছু তথ্য দিয়েছিল। আশুলিয়ায় এই অভিযানের সময় ওইসব তথ্যের সঙ্গে মিল পাওয়া যায়। এভাবেই আমরা নিশ্চিত হই এরা সারোয়ার-তামিম গ্রুপের।’ তামিম দ্বারী ছিলেন তামিম চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ সহচর। ২৭ এপ্রিল সাভার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন