আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

মাজার লুট: র‌্যাব সদস্যসহ সাতজনের বিচার শুরু

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-০৯-১৩ ১২:২৫:২৬

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার তালসরা দরবার শরিফের টাকা লুটের মামলায় চার র‌্যাব সদস্যসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার চট্টগ্রামের পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নুরে আলম ভুঁইয়ার আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। আগামী ২৩ অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আসামিরা হলেন- র‌্যাব-৭ এর তৎকালীন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (চাকরিচ্যুত) জুলফিকার আলী মজুমদার, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট (বাধ্যতামূলক ছুটিতে) শেখ মাহমুদুল হাসান, র‌্যাব-৭ এর সাবেক ডিএডি আবুল বাশার, এসআই তরুণ কুমার বসু, র‌্যাবের তিন সোর্স দিদারুল আলম ওরফে দিদার, আনোয়ার মিয়া ও মানব বড়ুয়া। অভিযোগ গঠনের সময় জামিনে থাকা সাত আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি আ ক ম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, মাজারের অর্থ লুটের ঘটনায় করা করা মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আগামী ২৩ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।

তিনি বলেন, মামলায় এলিট ফোর্স র‌্যাবের সদস্যরা জড়িত। এটি একটি চাঞ্চল্যকর মামলা। আসামিরা দরবার শরিফে ঢুকে লোকজনকে আটকে রেখে দরবার ও মসজিদ সংস্কারের জন্য মানুষের দেয়া দুই কোটি টাকা লুণ্ঠন করে নেয়। এটি জাতি আশা করেনি। সাবেক র‌্যাব কর্মকর্তা জুলফিকার আলী মজুমদারের গাড়িচালক ও দেহরক্ষী ডাকাতির বর্ণনা দিয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া অন্য তিনজন সাক্ষীও জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

বাদীপক্ষের আইনজীবী সাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, আসামিদের মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর অভিযোগ গঠন করেছে আদালত। দণ্ডবিধির ৩৯৫ ও ৩৯৭ ধারায় (দস্যুতা ও ডাকাতি) অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, তালসরা দরবারে ২০১১ সালের ৪ নভেম্বর রাতে র‌্যাব সদস্যরা গিয়ে তল্লাশির নামে দুই কোটি সাত হাজার টাকা লুট করেন নেন। এ ঘটনায় ২০১২ সালের ১৩ মার্চ আনোয়ারা থানায় র‌্যাব সদস্যসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তালসরা দরবারের পীরের গাড়িচালক মো. ইদ্রিস। এ মামলায় ২০১২ সালের ২৬ জুলাই জুলফিকারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন আনোয়ারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবদুস সামাদ।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন