আজ শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ইং

ক্রিকেটার না হলে পাইলট হতাম: ইমরুল কায়েস

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১০-২১ ২২:০৯:৩৩

সিলেটভিউ ডেস্ক :: জাতীয় দলে এমন অনেক ক্রিকেটার আছেন যারা ফর্মে না থাকলেও অটোমেটিক চয়েজের তালিকায় থাকেন। কিন্তু উল্টো চিত্র ইমরুল কায়েসের ক্ষেত্রে। ফর্মে থাকা সত্ত্বেও কাঙ্খিত সুযোগ পাননি তিনি।জাতীয় দলের কোনো ক্রিকেটার চোটাক্রান্ত হলেই সুযোগ মিলে কায়েসের।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই জাতীয় দলে আসা-যাওয়ার মধ্যে রয়েছেন কায়েস। দেশের এ তারকা ক্রিকেটারের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলা হয়। তার সেই সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হল।

প্রশ্ন : জাতীয় লিগে এবার প্রথম রাউন্ডে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি উপহার দিলেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি করা নিয়ে যদি কিছু বলেন?

ইমরুল কায়েস: যে পরিকল্পনা নিয়ে লিগ শুরু করতে চেয়েছি সেটা হচ্ছে। এভাবে রান করতে পারলে ভালো লাগবে। রান করাই আমার টার্গেট।

প্রশ্ন : জাতীয় লিগ নিয়ে আলাদা কোনো টার্গেট আছে?

ইমরুল কায়েস: না ওভাবে কোনো টার্গেট সেট করিনি। রান করাই লক্ষ্য। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা। আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করব দলের হয়ে অবদান রাখতে।

প্রশ্ন: জাতীয় লিগের এবারের আসর শুরুর আগে বিপ টেস্ট নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। এটা নিয়ে যদি বলেন?

ইমরুল কায়েস: বিপ টেস্ট আসলে বিসিবির ব্যাপার। এবার ১১ স্কোরিং দেয়া হয়েছিল। অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবে ফিট না থাকলে খেলাতো কঠিন। সেই দিক থেকে এটা অব্যশই ভালো দিক। প্রশ্ন: একযুগ হল প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলছেন। কতটা উন্নতি দেখছেন?

ইমরুল কায়েস: উন্নতি তো অবশ্যই হয়েছে। আগে একজন খেলোয়াড় দুই একটা সেঞ্চুরি আরফিফটি করেই লিগে রান সংগ্রহে শীর্ষে থাকত। অথচ এখন ডাবল সেঞ্চুরি, কয়েকটা সেঞ্চুরি আর একাধিক ফিফটি করেও শীর্ষে থাকা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। তার মানে এখন সবার মধ্যেই রান করার ক্ষিধে বেড়েছে। সবাই চায় রান করতে, উইকেট শিকার করতে।

প্রশ্ন: গত মাসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রামে টেস্টে আপনার খেলার কথা ছিল। জাতীয় দলের কন্ডিশনিং ক্যাম্পেও ছিলেন। কিন্তু ছেলের ডেঙ্গুর কারণে....?

ইমরুল কায়েস: আসলে এটা ভাগ্যের ব্যাপার। সবকিছুই ঠিক ছিল কিন্তু ছেলেটার অসুস্থতার কথা শুনে ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। আল্লাহর মেহেরবানী সে এখন ভালো আছে।

প্রশ্ন: গত বছর অক্টোবরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি আর এক ফিফটি মিলে ৩৪৯ রান করেছিলেন। সেরা ফর্মে থাকা সত্ত্বেও ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ দলে সুযোগ হয়নি...?

ইমরুল: আসলে সবাই চায় জাতীয় দলে খেলতে, দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে। আমিও চাই। কিন্তু চাইলেই তো আর হবে না। আমার কাজ পারফর্ম করে যাওয়া, সেটা করেছি। নির্বাচকরা যদি মনে করেন তাহলে আবারও সুযোগ হতে পারে।

প্রশ্ন: জাতীয় দল থেকে বারবার বাদ পড়া নিয়ে যদি বলেন।

ইমরুল কায়েস: যখন একটা জায়গায় আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকতে হয়, সেখানে অনেক কিছু দেখা যায়, অনেক কিছু উপলব্ধি করা যায়। ওটাই বুঝেছি। অনেক কিছুই শিখি যখন দলের বাইরে থাকি, অনেক কিছু তখন উপলব্ধি করতে পারি।

প্রশ্ন: জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার সংবাদ শুনে সবচেয়ে বেশি হতাশ হয়েছেন কখন?

ইমরুল কায়েস: এবারের বিশ্বকাপে খেলার ব্যাপারে আমি ভেতর থেকেই খুব বেশি প্রত্যয়ী ছিলাম। নিজের পক্ষ থেকে যা যা করার সর্বোচ্চই করে গেছি। যেখানেই খেলেছি, চেষ্টা করেছি রান করতে। কিন্তু যখন শুনলাম আমি দলে নেই তখন খুব হতাশ হয়েছি। এতটা হতাশ আমি আর কখনই হইনি।

প্রশ্ন: আপনি বিশ্বকাপে সুযোগ না পাওয়ার পর সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল, হতাশায় ক্রিকেটই ছেড়ে দিচ্ছেন। আপনি কি আসলে এমন কথা বলেছিলেন?

ইমরুল কায়েস: আসলে এমন কোনো কথা আমি বলিনি। এটা বানোয়াট একটা নিউজ হয়েছে। এমন সংবাদ দেখার পর আমি নিজেই হতাশ হয়েছি, কষ্টও পেয়েছি। যে কারণে সে সময় একটা ভিডিও বার্তা দিয়েছিলাম।

প্রশ্ন: জাতীয় দল থেকে বারবার বাদ পড়ার কারণে আপনি কি নিজেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে ‘দুর্ভাগা’ ক্রিকেটার হিসেবে মনে করেন?

ইমরুল কায়েস: বলতে পারেন।

প্রশ্ন: বিশ্বকাপ দলে আপনাকে না নেয়ায় মেহেরপুর জেলার ক্রিকেটপ্রেমীরা মানববন্ধ করেছিলেন..।

ইমরুল কায়েস: আসলে মেহেরপুর থেকে জাতীয় পর্যায়ে আমি একজনই খেলি। যে কারণে সবাই আমাকে ভালোবাসেন। তারা মনে করেছিলেন আমি বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাব। আমার প্রতি ভালোবাসা থেকেই তারা এটা করেছেন।

প্রশ্ন: আপনার ক্রিকেটার হয়ে ওঠার গল্প বলুন।

ইমরুল কায়েস: আমার বাবা বানী আমিন বিশ্বাস উনি ক্রিকেট খেলাটা খুব ভালোবাসতেন। উনি আগে ক্রিকেট খেলেছেন। তবে জেলা বা জাতীয় লেভেলে না। ক্রিকেটের প্রতি ওনার খুব ভালোবাসা ছিল। বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রিকেটার নিয়ে এসে নিজের টাকা খরচ করে খেলাতেন। তখন থেকেই ক্রিকেটের প্রতি আমার ঝোঁক ছিল।

প্রশ্ন: আপনার পরিবার নিয়ে জানতে চাই?

ইমরুল কায়েস: আমরা এক ভাই ও এক বোন। আমি বড়, বোন ছোট। তার ঢাকায় বিয়ে হয়েছে। আমার বাবা একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। আলহামদুলিল্লাহ তিনি এখনও বেঁচে আছেন। আর বিবাহিত জীবনে আমার একটা ছেলে আছে। এই আর কি।

প্রশ্ন: আপনার ছেলে শোয়াইব বিন কায়েসকে নিয়ে কী পরিকল্পনা?

ইমরুল কায়েস: ওকে নিয়ে আমার তেমন কোনো স্বপ্ন নেই। ও যেটা হতে চায় সেটাই হবে। আমি যদি এখন বলি তাকে হাফেজ বানাতে চাই, ও যদি না হতে চায় তাহলে ব্যাপারটা কেমন হবে! ছেলেকে মানুষের মতো মানুষ বানাতে চাই।

প্রশ্ন: ছোটবেলায় কী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন?

ইরুল কায়েস: আসলে খেলাধুলা নিয়ে আমার কোনো স্বপ্ন ছিল না। স্বপ্ন দেখতাম পাইলট হব। বিমান চালাব। বিমান দেখলেই মনে হতো ইশ! আমি যদি বিমানের পাইলট হতে পারতাম।

প্রশ্ন: সেই স্বপ্ন পূরণ না হওয়ায় আপনি কি হতাশ?

ইমরুল কায়েস: না সেই হতাশা আমার মধ্যে এখন আর কাজ করে না। পাইলট হলে আমি যা পেতাম, ক্রিকেট আমাকে তার চেয়েও বেশি দিয়েছে। ক্রিকেট খেলার কারণে পাইলটের পাশে বসে বিদেশ সফরের সুযোগ হয়েছে। জাতীয় দলের হয়ে দেশে-বাইরে ক্রিকেট খেলায় অনেক পরিচিতি হয়েছে। এর চেয়ে আর বেশি কিছু চাই না।

প্রশ্ন: ক্রিকেটার না হলে আপনি কি হতেন?

ইমরুল কায়েস: তাতো বলতে পারব না। তবে লেখাপড়া করে প্রতিষ্ঠিত হতে হতো।

প্রশ্ন: আপনার ক্রিকেটার হয়ে ওঠার অনুপ্রেরণা?

ইমরুল কায়েস: বাবা বানী আমিন বিশ্বাস। তিনি অনেক বেশি অনু্প্রেরণা জুগিয়েছেন। তাছাড়া আমার চাচারাও ক্রিকেটার হতে উৎসাহিত করেছেন। সব মিলিয়ে বলতে গেলে পরিবার থেকেই ক্রিকেটার হওয়ার সমর্থন পেয়েছি।

প্রশ্ন: ক্রিকেটে আপনার হাতে খড়ি কোথায়?

ইমরুল কায়েস: রাজশাহীতে। ওখানে জামেলুর রহমান নামে একজন কোচ আছেন। ওনার হাত ধরেই ক্রিকেটে হাতেখড়ি। উনি আমার খেলা দেখে পছন্দ করেন। এসএসসি পাস করার পর ওনার পরামর্শ ‍অনুসারে ক্রিকেট খেলেছি।

প্রশ্ন: কখন মনে হয়েছে ক্রিকেটকে পেশা হিসেবে নেয়া যায়?

ইমরুর কায়েস: মেহেরপুর জেলা স্কুলে পড়া অবস্থায় স্কুল ক্রিকেট খেলতাম। সেখান থেকে ২০০২ সালে এসসসি পাস করার পর ক্রিকেটে ক্যারিয়ার গড়ার সিদ্ধান্ত নেই।

প্রশ্ন: আপনার শিক্ষাজীবন নিয়ে বলুন?

ইমরুল কায়েস: ২০০২ সালে মেহেরপুর জেলা স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেছি। রাজশাহী পুলিশ লাইন থেকে এইসএসপি শেষ করেছি। ঢাকায় একটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান নিয়ে অনার্স করেছি।

প্রশ্ন: আপনার পছন্দের ক্রিকেটার কে?

ইমরুল কায়েস: ক্যারিয়ার শুরুর আগ থেকেই পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরামের খুব ভক্ত ছিলাম। তিনিই আমার পছন্দের ক্রিকেটার।

প্রশ্ন: কোন ক্রিকেটারের মতো হতে চাইতেন?

ইমরুল কায়েস: আমার ফেভারিট ব্যাটসম্যান শ্রীলংকার কিংবদন্তি ক্রিকেটার কুমার সাঙ্গাকারা। ওনার খেলা আমার খুব ভালো লাগে। ওনার মতোই হতে চাই।

প্রশ্ন: জাতীয় দল এবং বিপিএলে খেলার কারণে একাধিকবার সাঙ্গাকারার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে। কখনও পরামর্শ পেয়েছেন?

ইমরুল কায়েস: ওনার কাছ থেকে একাধিকবার টিপস নিয়েছি। আমাকে ব্যাটিংয়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। সেভাবেই চেষ্টা করেছি, সফল হতে এখনও সেই পরামর্শ অনুসরণ করছি।

প্রশ্ন: আপনার খেলোয়াড়ি জীবনের সেরা স্মৃতি?

ইমরুল কায়েস: ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি। সেই টেস্টে ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৪৩ রান করেছি। দ্বিতীয় ইনিংসে ফিফটি (৭৫ রান) করেছিলাম। আমার টেস্ট ক্যারিয়ারে সেটাই ছিল প্রথম ফিফটি। এ ছাড়া তামিম ইকবালও সেই টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিল।

প্রশ্ন: আপনার সেরা ইনিংস কোনটি?

ইমরুল কায়েস: ২০১৫ সালে খুলনা টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে আমি আর তামিম উদ্বোধনী জুটিতে ৩১২ পার্টনারশিপ গড়েছিলাম। সেই ম্যাচে তামিম ডাবল সেঞ্চুরি করে। আমি ১৫০ রান করি। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩১২ রানের জুটির বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলাম আমরা। সেই ইনিংসটি টেস্ট আর ওয়ানডে মিলে আমার সাত সেঞ্চুরি আর ২০টি ফিফটির ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ইনিংস।

প্রশ্ন: কার বল খেলতে নার্ভাস ফিল করতেন?

ইমরুল কায়েস: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের শুরুর দিকে দক্ষিণ আফ্রিকান তারকা পেসার ডেল স্টেইনের বল খেলতে খুব নার্ভাস ফিল করতাম। তবে এখন অবশ্য বিশ্বের কোনো বোলারকেই ওরকম মনে হয় না।

প্রশ্ন: আপনার সফলতার নেপথ্য কি?

ইমরুল কায়েস: আমি সব সময় চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি।

প্রশ্ন: আপনার দেখা সেরা ক্রিকেটার?

ইমরুল কায়েস: ভারতীয় ক্রিকেট দলের বর্তমান অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তিনি সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। তার ব্যাটিং স্টাইল আমার খুব ভালো লাগে। আর দেশের কথা যদি বলেন তাহলে অবশ্যই সাকিব। সে বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার।

প্রশ্ন: তরুণ প্রজন্মের ক্রিকেটারদের প্রতি আপনার পরামর্শ।

ইমরুল কায়েস: আকরাম খান-হাবিবুল বাশার সুমন ভাইরা বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে ক্রেজ নিয়ে এসেছিলেন। তাদের সেই অবস্থা থেকে আমরা বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। তরুণ প্রজন্মের কাছে আমার একটাই চাওয়া, তারা বাংলাদেশকে বিশ্বকাপ উপহার দিতে না পারলেও দলকাটে যেন এমন অবস্থায় নিয়ে যায়-যাতে করে বিশ্বের ক্রিকেট বিশ্লেষকরা বলতে বাধ্য হয় বাংলাদেশ বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম দাবিদার।

প্রশ্ন: মাশরাফি-তামিম-সাকিব-মুশফিকদের সঙ্গে খেলেছেন। এদের মধ্যে আপনার দেখা সেরা ক্রিকেটার কে?

ইমরুল কায়েস: আসলে এটা খুবই কঠিন প্রশ্ন। সবাই সবার জায়গায় সেরা ক্রিকেটার।

প্রশ্ন: আপনার দৃষ্টিতে কোন সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার হারিয়ে গেছে?

ইমরুল কায়েস: সোহাগ গাজী, তার প্রতিভা ছিল কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। যদিও সে এখনও ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে যাচ্ছে।

প্রশ্ন: কোন ক্রিকেটারের তার প্রতিভা কাজে লাগাতে পারেনি?

ইমরুল কায়েস: নাসির হোসেন। তার ভালো ক্রিকেট মেধা ছিল। বিশেষ করে ফিনিশিংয়ে সে দুর্দান্ত। কিন্তু আমরা তার সার্ভিস পাইনি।

প্রশ্ন: আপনার ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্ত কোনটি?

ইমরুল কায়েস: আসলে সেরা মুহূর্ত তো অনেক। তবে যেদিন আমার সন্তানকে হাতে পেয়েছিলাম সেটা অসাধারণ ছিল। সেটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।

প্রশ্ন: ক্রিকেটার হিসেবে বিভিন্ন দেশে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। কোন দেশে সুযোগ পেলে আবারও যেতে চান?

ইমরুল কায়েস: ইংল্যান্ড। ক্রিকেট খেলা এবং ঘুরে দেখার জন্য ইংল্যান্ড খুব ভালো জায়গা। ওখানের উইকেটে খেললে অন্যরকম ফিলিংস তৈরি হয়। বিশেষ করে লর্ডসে খেললে যে অনুভূতি হয় তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।

প্রশ্ন: আপনার প্রিয় রং

ইমরুল কায়েস: মারবেল কালার

প্রশ্ন: আপনার প্রিয় খাবার

ইমরুল কায়েস: রুটি-গোশত

প্রশ্ন: আপনার প্রিয় পোশাক

ইমরুল কায়েস: জিন্স প্যান্ট, টি-শার্ট।

প্রশ্ন: আপনার প্রিয় গান

ইমরুল কায়েস: দেশাত্মক বোধক সব গান।

প্রশ্ন: আপনার প্রিয় শিল্পী

ইমরুল কায়েস: জেমস (ফারুক মাহফুজ আনাম; জেমস হিসাবেই বেশি জনপ্রিয় ছিলেন।)


সৌজন্যে : যুগান্তর
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২১ অক্টোবর ২০১৯/জিএসি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন