আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

হবিগঞ্জে ৭ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০১-২৩ ২০:২৯:৫৫

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :: হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে পুলিশের গুলিতে যুবদল নেতা ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর ইউনুছ মিয়া নিহতের ঘটনায় ৭ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা দায়রা জজ মো. আতাবউল্লাহর আদালতে নিহতের স্ত্রী কাজী শাহেনা আক্তার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

আদালত মামলাটি গ্রহণ করে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন।

মামলার আসামীরা হলো- চুনারুঘাট থানায় কর্মরত এসআই আতাউর রহমান, এসআই ওমর ফারুক, এএসআই দেলোয়ার হোসেন, এএসআই সাজিদ মিয়া, কনস্টেবল মনীন্দ্র চাকমা, কনস্টেবল আব্দুল হামিদ ও ড্রাইভার নুরুজ্জামান।

নিহত ইউনুছ উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ হাতুণ্ডা গ্রামের গনি মিয়ার ছেলে। তিনি ছিলেন চুনারুঘাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও চুনারুঘাট পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক।

জেলা জজ আদালতের আইনজীবী আব্দুল হাই জানান,

গত বছর ১ অগাস্ট রাতে সাদা পোশাকে এএসআই দেলোয়ার হোসেন এবং এএসআই সাজিদ মিয়া শাহেনা আক্তারের বাড়ি ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এ সময় ঝপটা-ঝাপটির কারণে শোকেসের কাচ ভেঙে দেলোয়ার আহন হন।

“এ ঘটনায় সাজিদ মিয়া বাদী হয়ে ইউনুছ আলীকে আসামি করে মাদক আইনে থানায় মামলা দেন। আর শাহানা আক্তার হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে মামলা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ ইউনুছ আলীকে মাদক বিক্রেতা বানাতে তৎপর হয়। আর শাহানার দায়ের করা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য স্বামী-স্ত্রীকে চাপা দেয়।”

এরই জেরে ইউনুছকে হত্যা করা হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

আইনজীবী হাই বলেন, ৩১ ডিসেম্বর রাতে চুনারুঘাট থানার পুলিশ ইউনুছকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাকে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক নির্যাতনের পর গুলি করে হত্যা করে।

চুনারুঘাট থানার ওসি আজমিরুজ্জামান ইউনুছের মৃত্যুর পরদিন বলেছিলেন, “রাত ১২টার দিকে ইউনুছসহ চার-পাঁচজন ইয়াবা সেবন করছিলেন। সেখানে মাদক বিক্রেতাদের ধরতে গেলে তারা দেশি অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে।

“পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুড়লে ইউনুছ আহত হন। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।”

আদালতে মামলার পর তিনি বলেন, “মামলা দায়েরের কথা শুনেছি। প্রত্যেক মানুষেরই বিচার চাওয়া তার মৌলিক অধিকার। তদন্তের মাধ্যমেই প্রকৃতি ঘটনা বেরিয়ে আসবে।”

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৩ জানুয়ারি ২০১৮/কেএস/আরআই-কে

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন