আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

হলের কক্ষ থেকে বের করে দেয়া হলো শাবি ছাত্রীকে!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০২-১৩ ১৯:৫৫:৪০

শাবি প্রতিনিধি :: সায়েন্স ফ্যাকাল্টির না হয়ে আর্টস ফ্যাকাল্টির হওয়ায় রুমে তোলার দু’দিন পরে হল কর্র্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করে রুম থেকে এক ছাত্রীকে বের করে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা ও পরবর্তীতে হল প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ঐ ছাত্রী। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ঐ ছাত্রীর বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিযোগে জানা যায়, হলে সিট সংকট থাকায় বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের অধীনে হোস্টেল ফজল কমপ্লেক্সে থাকতেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ঐ ছাত্রী। সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের বি/৪০২ নম্বর রুমে একটি সিট খালি হওয়ায় তিনি আবেদন করলে সিটটি তার নামে বরাদ্দ দেয় হল প্রশাসন। পরে গত ৮ ফেব্রুয়ারি হলে গিয়ে রুমের অপর তিন সিনিয়র ছাত্রীর সাথে কথা বলে নিজের বেশকিছু জিনিসপত্র রেখে আসেন তিনি।

অভিযোগপত্রে ওই ছাত্রী উল্লেখ করেছেন, ‘ব্যক্তিগত কিছু সমস্যার কারণে তিনি আগের থাকার জায়গায় অবস্থান করছিলেন। গত ১২ ফেব্রুয়ারি আপুদের (সিনিয়র ছাত্রী) অভিযোগের ভিত্তিতে হল কর্তৃপক্ষ মৌখিকভাবে তার সিট বাতিল করে দেয়। এসময় তার থাকার বিকল্প ব্যবস্থা না করেই ওই কক্ষ থেকে জিনিসপত্র বের করে দেয় তারা। তাৎক্ষণিক হল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে কোন ধরনের সাড়া পাননি তিনি। পরবর্তীতে রুমে গিয়ে দেখতে পান, তার জিনিসপত্র বাইরে ফেলে দিয়ে তার সিটে সায়েন্স ফ্যাকাল্টির আরেকজনকে তুলেছেন।

এসময় হলে দায়িত্বরত ফারহানা আক্তার নামে একজন ‘আপুরা সায়েন্সের কাউকে তুলবেন এই অভিযোগের ভিত্তিতে তার সিট কাটা হয়েছে’ বলে ভুক্তভোগীকে জানান। এ নিয়ে একটি অভিযোগপত্র ১৩ ফেব্রুয়ারি হল প্রশাসন বরাবর দিতে গেলে ৪০২ নম্বর রুমের সিনিয়র ছাত্রীরা তাকে বকা দেন বলে এই প্রতিবেদককে জানান ভুক্তভোগী ঐ শিক্ষার্থী। যদিও ঐ কক্ষে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের দুই শিক্ষার্থী ইতিমধ্যে অবস্থান করছেন।

অন্য রুমে কোনো সিটের ব্যবস্থা না করে সিট কেটে দেয়ার যৌক্তিকতা কতটুকু এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফারহানা আক্তার বলেন, ‘হল প্রভোস্টের নির্দেশে’ তিনি এ কাজ করেছেন।

এ বিষয়ে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হল প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক শরীফা ইয়াসমিন বলেন, ‘সিট পরিবর্তন করা হয়নি এবং ওর রুমমেটরা আর্টসের কাউকে চাচ্ছেন না। হলে রুমমেটরা যদি না চায় তবে জোর করে কাউকে দেয়ার নিয়ম নেই। আমরা ঐ ছাত্রীর সিট পরিবর্তন করেছি।’ তবে নতুন কোন রুমে সিট দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি কিছু বলতে পারেননি।

এ ধরনের ঠুনকো অভিযোগে একজন ছাত্রীকে না জানিয়ে রুম থেকে বের করে দেয়ায় ছাত্রীদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি ক্ষোভ ঝাড়েন প্রতিবেদকের উপর। পরবর্তীতে তিনি বলেন, ‘আমরা ঐ ছাত্রীর সাথে যোগাযোগ করে পাইনি। আর এসব আমি তোমাকে বলবো কেন?’ পরবর্তীতে তিনি এক সপ্তাহের মধ্যেই ঐ ছাত্রীর জন্য নতুন সিটের ব্যবস্থা করবেন বলে এ প্রতিবেদককে জানান।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/ মেক/আরআই-কে

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন