আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

সিলেটে হোটেলে সিট নেই, বারান্দায় পর্যটক

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০২-২১ ১৫:৫১:০৯

ইমরান আহমদ :: সিলেটে হোটেলের সামনে সিট খালি নেই নোটিশ সাঁটানো। পর্যটকরা হোটেল বা বিভিন্ন ভবনের সামনে বসে আছেন। স্বজন নিয়ে কোথায় উঠবেন অনেক পর্যটকই হিসেব মেলাতে পারছেন না। সব মিলিয়ে চরম ভোগান্তিতে সিলেটে পর্যটকরা।

হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার, হযরত শাহ পরান (রহ.) মাজার, জাফলং, মাধবকুন্ড, লালাখাল, বিছনাকান্দি, পান্তুমাই, ভোলাগঞ্জ জিরো লাইন, রাতারগুল, চা বাগান, সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর দৃষ্টিনন্দন শিমুল ফুলের বাগান দেখতে দেশের ও দেশের বাহিরের অনেক পর্যটকরা সিলেটে আসেন। পর্যটকেরা সিলেটে বেড়াতে এসে থাকতে হয় আবাসিক হোটেলে। প্রতি বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সিলেটে পর্যটকদের ভীড় লেগে থাকে। আর একইসাথে যদি  তিনদিন বা তার বেশি সরকারি ছুটি থাকে তাহলে হোটেলে সিট পাওয়া যায় না। বৃহস্পতিবারসহ (২২,২৩ ফেব্রুয়ারি) সরকারী ছুটি থাকায় সিলেটের পর্যটন কেন্দ্র গুলো পরিদর্শনে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে এসেছেন পর্যটকেরা। সিলেটে এসে পর্যটকরা হোটেলে থাকা নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার নগরীর দরগাহ এলাকায় দেখা যায় হোটেলে সিট না পেয়ে পর্যটকরা হোটেল বা বিভিন্ন ভবনের সামনে বসে আছেন। নগরীর কোথাও কোনো হোটেলে সিট নেই। 

হযরত শাহজালাল (র: ) মাজার দরগাহ রোড আলমাস হোটেল, হোটেল আল-আরব, হোটেল উর্মি, হোটেল অনুপম,  আল জালাল, আকসা, ময়রুন নেছা, আল আমিন, হোটেল জিয়া, হোটেল কোরেইশী, হোটেল ইয়ামেন, তালতলা এলাকার হোটেল ইস্ট ইন, হোটেল ব্রিটেনিয়া, হোটেল সুফিয়া, হোটেল গুলসানসহ বেশ কয়েকটি হোটেলে গিয়ে দেখা যায় হোটেলের সামনে সিট খালি নেই নোটিশ সাঁটানো।
নগরীর প্রতিটি হোটেল বোর্ডারে পরিপূর্ণ থাকায় মঙ্গলবার রাতে নগরীর কোনো হোটেলেই সিট পাননি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা লোকজন।

দরগাহ রোড হোটেল অনুপম এর পরিচালক মুফতি মইন উদ্দিন বলেন, প্রতি বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সিলেটে পর্যটকদের ভীড় থাকে। সরকারি ছুটি একইসাথে যদি তিনদিন বা তার বেশি থাকে তাহলে হোটেলে সিট পাওয়া যায় না। তবে আজ একটু বেশি পর্যটক দেখা যাচ্ছে। পর্যটকরা হোটেলে থাকা নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন। সিলেটের বেশিরভাগ আবাসিক হোটেল ১০০ সিটের মধ্যে তাই পর্যটক বেশি হলে সিট পাওয়া যায় না।

হোটেলে সিট না পেয়ে দরগাহ গেইট এলাকার একটি ভবনের নিচে মা, বোন, মেয়ে আতœীয় স্বজন নিয়ে বসে আছেন চট্রগ্রাম থেকে আসা সাহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, সরকারি ছুটিতে পরিবারের ৬ জন নিয়ে সিলেট মাজারসহ অন্যান্য জায়গা দেখতে এসেছেন। হোটেলে সিট না পেয়ে সমস্যায় আছেন।

একইভাবে খুলনার আব্দুর রহিম, বরিশালের আব্দুল জব্বার, কুমিল্লার সেলিম আহমদ জানালেন ভোগান্তির কথা।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/এক/ইআ

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন