আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং
সিলেটভিউ ডেস্ক :: ২১ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় পূর্বলন্ডনের আলতাব আলী পার্কে প্রধান শহীদ মিনারে প্রভাতফেরীর মাধ্যমে শিশু কিশোর সহ বেশ কিছু অভিভাকরাও ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
১৯৫২ সালে মাতৃভাষা বাংলা রক্ষায় জীবন দিয়েছিলো বাংলার ছাত্রজনতা। তাদের সেই আত্ম ত্যাগকে প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বাঙালি জাতি। শহীদ দিবস এখন শুধু বাঙালিদের একার নয় এটি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি লাভ করেছে।
সারা বিশ্বে বাংলাদেশী সহ বিভিন্ন কমিউনিটির মানুষ শহীদ মিনারে গিয়ে ফুল দিয়ে সেই ভাষা শহীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন। বিদেশে এই ধারা প্রচলিত বহুদিন যাবত। বাঙালি অধুষ্যিত পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসের আলতাব আলীপার্কে নির্মিত শহীদ মিনারে বিশাল পরিসরে রাত ১২টা ১মিনিট থেকে শ্রদ্ধা জানান প্রবাসী বাংলাদেশী সহ নানান কমিউনিটির মানুষ।
তবে রাতে ঠান্ডা ও প্রচন্ড ভীড়ের কারনে নারী ও শিশুদের উপস্থিতি কম দেখা যায়। আর সে কারনেই গত৪ বছর যাবত ২১ ফেব্রুয়ারীর ভোরে প্রভাতফেরী আয়োজন করা হয়। এতে নারী ও শিশুদের উপস্থিতি থাকে বেশ।
প্রভাতফেরির আয়োজকরা বলেন, এদেশে বেড়ে ওঠা শিশুকিশোর যারা রাতে আসতে পারেনা, তাদেরকে একুশের গৌরবোজ্জ্বল চেতনায় অনুপ্রাণিত করার জন্য রাতেরপাশাপাশি সকালেও একুশের প্রভাতফেরী আয়োজন পরিষদ যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
প্রভাতফেরির পরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক একুশের প্রভাতফেরি আয়োজন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আনসার আহমেদ উল্লাহর সভাপতিত্বে অতিথি টাওয়ার হ্যামলেটসের স্পিকার কাউন্সিলর আয়াস মিয়া বলেন, বিদেশে বেড়ে উঠা নবপ্রজন্মের মাঝে এবং অন্যান্য কমিউনিটির মাঝে অমর একুশের গৌরবোজ্জ্বল সংগ্রামগাঁথা ছড়িয়ে দেয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
সমাবেশের আগে শহীদের সম্মানার্থে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পরিষদের পক্ষে হারুনুর রশিদ এবং ডাক্তার রফিকুল হাসান জিন্নাহ। আরও বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর আব্দাল উল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (রাজনৈতিক) শ্যামল কান্তি চৌধুরী । তার নেতৃত্বে শিশুরা একুশের গান পরিবেশন করে।
প্রবাসের অনেক প্রগতিশীল সংগঠনও ব্যক্তিরা তাদের প্রিয়জন ও বন্ধুদের বিশেষ করে শিশু কিশোরদের সাথে নিয়ে প্রভাতফেরিতে অংশগ্রহণ করেন বিশেষ করে কাউন্সিলর আহবাব হোসেন, লেবার পার্টির আনিসুর রহমান আনিস, পরিষদের নুরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা মারুফ চৌধুরী, মজুলিকা জামালী, জুয়েল রাজ্,মুক্তিযোদ্ধা লুকমান হোসেন, তৌহিদ চৌধুরী,সুশান্ত দাস, সাইফুল ইসলাম খান, জলি সুলতানা রশিদ, মুনযেরীন রশিদ, অসীমা দে, রওশন জাহান সিমি,শারমিন বীথি, মতিউর রহমান তাজ, সাংবাদিক আহাদ চৌধুরী বাবু, নুরুল আমিন, শ্রেয়সী, রফিক, অপু, সাংবাদিক কামাল মেহেদী, বাবুল দে,ব্যারিস্টার চৌধুরী হাফিজ, জিন গুপ্তা, লিমা চৌধুরী প্রমুখ। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পরে অনুষ্ঠানের সমাপ্ত ঘটে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/ডেস্ক/নাহোই