আজ বুধবার, ০৮ মে ২০২৪ ইং

রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশিক্ষক হিসেবে আমন্ত্রণ পেলেন সুনামগঞ্জের দেবদাস

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৩-১৪ ১৬:৪৭:৫৬

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সুনামগঞ্জের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শিল্পী জেলা শিল্পকলা একাডেমির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট দেবদাস চৌধুরী রঞ্জনকে আন্তর্জাতিক লোকসংগীত কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।

আগামী ২৫ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ ভারতের কলকাতায় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিতব্য লোকগান বিষয়ে আন্তর্জাতিক কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন তিনি।

কলকাতায় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোকাল মিউজিক বিভাগের শিক্ষক ড. চন্দ্রানী দাস পত্র দিয়ে অ্যাডভোকেট দেবদাস চৌধুরী রঞ্জনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

দেবদাস চৌধুরী রঞ্জনের জন্ম সুনামগঞ্জের মল্লিক পুরের সম্ভ্রান্ত একটি পরিবারে। পারিবারিক সাংগীতিক পরিবেশেই বেড়ে ওঠা। তাই ছোটবেলা থেকেই সংগীতের প্রতি অগাধ ভালবাসা। গানের হাতেখড়ি বড় ভাই অ্যাডভোকেট দ্বিগবিজয় শর্মা চৌধুরীর হাত থেকে। পরবর্তীতে ওস্তাদ গোপাল দত্ত, ওস্তাদ এমরান আলী, পন্ডীত রামকানাই দাস ও ওস্তাদ সঞ্জীব দে'র (ঢাকা) কাছ থেকে সংগীতের উপর তালিম নেন। ছায়ানট থেকে তিনি নজরুল সংগীতের উপর  বিশেষ প্রশিক্ষণ নেন।

এছাড়া ও স্পন্দন সাংস্কৃতিক সংস্থা ও শিশু সংগঠনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত স্পন্দন সংগীত বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ পদে ও আন্তর্জাতিক রাধারমণ পরিষদের সি.ই.ও  হিসেবে দায়িত্বরত  আছেন।    

বিএসএস(সম্মান) এমএসএস(অর্থনীতি) শিক্ষাজীবন শেষ করে শুধুমাত্র সংগীতের অমোঘ টানেই আইন পেশায় মনোনিবেশ করেন। বর্তমানে সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির  একজন সদস্য হিসেবে আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন। পরিবারের অন্য ভাই বোনেরা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত,এবং স্ত্রী তুলিকা ঘোষ চৌধুরী ও একজন লোক ও নজরুল সংগীত শিল্পী। সংগীতের অনুপ্রেরণায় তুলিকাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও বন্ধুবান্ধবদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। দেবদাস চৌধুরী ১৯৮৭ সালে সংগীতে জাতীয় পুরষ্কার  পান। এছাড়া বাংলাদেশ নজরুল সংগীত শিল্পী পরিষদ কর্তৃক নজরুল সংগীত গুণীজন সম্মাননা, রাধারমণ চর্চা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র কর্তৃক ঢাকায় আয়োজিত রাধারমণ উৎসব  ২০১৩ ইং এ রাধারমণ সাধক হিসেবে সম্মাননা দেওয়া হয়।  ১৯৮৫সালে বাংলাদেশ বেতার সিলেট কেন্দ্রের  নিয়মিত আধুনিক  গানের শিল্পী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হোন। বর্তমানে তিনি বেতারের বিশেষ শ্রেণীর একজন কণ্ঠ শিল্পী।

তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের একজন খ গ্রেডের নজরুল সংগীত শিল্পী।বিটিভিসহ চ্যানেল আই, দেশ টিভি, এন টিভি, আর টিভি, চ্যানেল এস, এসএ টিভি, বাংলা ভিশন, একুশে টিভি, মাছরাঙ্গা টেলিভিশন, ভারতের তারা মিউজিক, দূরদর্শনে লাইভ প্রোগ্রামে সংগীত পরিবেশন করে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেন।

দেশের বাইরে ২০০৪ সালে ভারতের শিলং  এ লোকসংগীত পরিবেশন করার জন্য আমন্ত্রণ পান তার পর  ২০০৫ সালে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কমল পুরে  প্রথম বইমেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে, ২০০৭ সালে ভারতের কলকাতাস্থ বাংলাদেশ হাই কমিনে শারদ উৎসব, ২০০৮ সালে ভারতের জলপাইগুড়িতে ডুয়ার্স  উৎসব, ২০১৭ সালে গৌহাটিতে অনুষ্টিত সিলেটি সম্মেলন, ২০১৮ তে শিলচরে মৃত্তিকা লোক গানের দলের আমন্ত্রণে, ২০১৮ সালের   ডিসেম্বরে আগরতলায় বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃক আয়োজিত ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন অনুষ্টানে সংগীত পরিবেশন করেন।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৪ মার্চ ২০১৯/কেআর-এস/এসডি

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন