আজ শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ইং

ঢাকাকে ছাড়িয়ে সিলেটের বাজিমাৎ: নৃত্য উৎসব

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৩-২২ ০২:২৮:৪৪

এনামুল কবীর :: এপার বাংলা ওপার বাংলা নাট্য উৎসবের প্রথম দিনটিতে ঢাকাকে ছাড়িয়ে গেল সিলেট। মানে, ঢাকার ‌'সাধনা'র পরিবেশনা রবীন্দ্রনাথের 'চিত্রাঙ্গদা' ও সাজু আহমদের কত্থক থাকলেও যথারীতি আলোচনায় ছিল সিলেটের নৃত্যশৈলী।

বিশেষ করে ‘ছড়ায় ছন্দে নৃত্যানন্দে’ পর্বে তাদের পরিবেশনা মুগ্ধ করেছে হলভর্তি দর্শকদের। মুহুর্মুহু করতালিতে ফেটে পড়েছে পুরো অডিটোরিয়াম।

অবশ্য নৃত্যশৈলীর পরিবেশনা সবসময় দর্শকদের প্রশংসায় ধন্য হয়। বৃহস্পতিবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

উদ্বোধনী নৃত্য যেমন দর্শকদের মধ্যে সাঁড়া ফেলেছে, তেমনি উদ্বোধন শেষে গহন কুঞ্জ বনে, জীবন আমার ধন্য হলো, চা-পাতা নৃত্য, জলের ঘাটে গিয়েছিলাম শীর্ষক ধামাইল ও তোমরা দেখোগো আসিয়া গানের সাথে তাদের নাচও করতালির বন্যায় ভেসেছে।

এরপর সন্ধ্যা পৌণে ৭টায় শুরু হয় অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব। এ পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন লিডিং ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কামরুজ্জামান চৌধুরী। অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন নৃত্যসারথী লায়লা হাসান, নৃত্যগুরু সাজু আহমদ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন নৃত্যশৈলীর পরিচালক নীলাঞ্জনা জুঁই।

এরপরের পরিবেশনা ছিল নৃত্যশৈলী সিলেটের ‘ছড়ায় ছন্দে নৃত্যানন্দে’। প্রায় ৩ সাড়ে ৩ বছরের শিশু থেকে শুরু করে কিশোর-কিশোরীদের একে একে পরিবেশন করে অনেকগুলো ছড়াগানের সাথে নাচ।

শুরুর গানটা  প্রতিটি বাঙালীকে কমবেশী শুনতে শুনতে বড় হতে হয়েছে। হ্যাঁ, ‘ঘুমপাড়ানি মাসি-পিসি’ দিয়ে শুরু, সেই সাথে শুরু মুগ্ধ হওয়াও।

এরপর একে একে ‘ভোর হলো দোর খোল’, ‘আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে’,  ‘রাখাল ছেলে রাখাল ছেলে’, ‘আগডুম বাগডুম’, ‘হাটটিমা টিম টিম’, ‘আতা গাছে তোতা পাখি’, ‘ময়না টিয়া’, ‘বাবুরাম সাপুড়ে’, ‘বাবুই পাখিরে ডাকি’, ‘ও সোনা ব্যাঙ’, ‘নোটন নোটন পয়রাগুলো’র পর শেষ হলো ‘আমরা সবাই রাজা’ দিয়ে।

প্রতিটি গানের মাঝখানে একটি কিশোর-কিশোরী দর সূত্রধরের মতো এসে দর্শকদের পরবর্তী পরিবেশনা সম্পর্কে আগাম ধারণা দিয়ে গেছেন।

শুধু নাচই নয়, প্রতিটি গানের সাথে মিল রেখে যে মেকআপ-গেটআপ করা হয়েছে তাও ছিল অনবদ্য।

দ্বিতীয় পর্বের শুরুতে নৃত্যগুরু (কত্থক) সাজু আহমদ তার প্রিয় শিষ্য নীলাঞ্জনা জুঁই সম্পর্কে বলেছিলেন, সিলেটের মতো বিভাগীয় শহরে থেকেও ও যেভাবে কাজ করছে তা অসাধারণ। দেশে বিদেশে নিজেকে চিনিয়ে দিয়েছে। ঢাকা বা কোলকাতায় থাকলে তার নাম ডাক গোটা দুনিয়াজুড়ে আরো বেশী ছড়িয়ে পড়তো।

‘ছড়ায় ছন্দে নৃত্যানন্দে’ শেষ হওয়ার পর সাজুর মূল্যায়ন যে মোটেও অত্যুক্তি নয় তার প্রমাণ পেলেন উপস্থিত কয়েকশ’ দর্শক অভিভাবক।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ২২ মার্চ ২০১৯/এক



@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন