আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

সিলেটের ‘সাংস্কৃতিক হোমরা-চোমরাদের’ কারণে মনোকষ্টে মালতি পাল!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৩-২৩ ০০:০১:৪৭

এনামুল কবীর :: মনোকষ্টে ভুগছেন সিলেটের বিখ্যাত লোকসঙ্গীত শিল্পী মালতি পাল। নিজের সঙ্গীত জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকলেও ইদানিং নানা প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করতে হচ্ছে জনপ্রিয় এই শিল্পীকে।

সম্প্রতি সিলেটভিউর সাথে আলাপচারিতায় জানিয়েছেন ব্যক্তি জীবনে যথেষ্ট ভালো থাকলেও সঙ্গীত জীবনে খুব একটা ভালো নেই তিনি।

তবে কি হয়েছে বা কি ঘটেছে সে সম্পর্কেও বিস্তারিত কিছু বলেননি মালতি পাল।

তার সাথে ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সঙ্গীত জগতের তথাকথিত নানা রথি-মহারথির কথাবার্তায় ইদানিং তিনি মনোকষ্টে ভুগছেন। তাছাড়া বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাথে সম্পর্ক মোটামুটি ভালো থাকলেও সিলেট বেতারের সাথে তার কিছুটা টানাপোড়েন চলছে।

বিষয়টি নিয়ে তাকে প্রশ্ন করলেও তিনি কোন জবাব না দিয়ে এড়িয়ে গেছেন।

আলাপচারিতায় জানালেন, ছোটবেলা থেকেই সঙ্গীত চর্চা করছেন। বাউল শাহ আব্দুল করিম প্রায়ই তাদের বাসায় যেতেন। সেখানে মাঝে মাঝে তাকে গানও শেখাতেন, উৎসাহ দিতেন। শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করলেন রুহি ঠাকুরের কথাও।

মালতি পাল বলেন, তাদের বাড়িটিতে সংস্কৃতি, বিশেষ করে গান-বাজনা চর্চার যথেষ্ট সুযোগ আগেও ছিল, এখানো আছে।

সঙ্গীত জীবনের প্রাপ্তি নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, অনেক কিছুই পেয়েছি। তবে সবচেয়ে বড় পাওয়া মানুষের ভালোবাসা। প্রচুর ভক্তশ্রোতা পেয়েছি যারা আজো মালতি পালের গান শুনতে অধির আগ্রহে অপেক্ষায় থাকেন।

বেতার-টেলিভিশনে নিয়মিত অনুষ্ঠান করলেও মালতি পাল ইদানিং স্টেজ প্রোগ্রাম কমিয়ে দিয়েছেন। সংসারে প্রচুর সময় দিতে হয় বলেই এমনটি হচ্ছে বললেও ঘনিষ্ট সূত্রের বক্তব্য, আসলে তার মন-মানসিকতাই নষ্ট হয়ে গেছে সংস্কৃতি জগতের কিছুকিছু স্বঘোষিত হর্তা-কর্তার কারণে। আর তাই স্টেজ প্রোগ্রাম বাদ দিয়ে হাত-পা গুটিয়ে বসে আছেন।

মালতি পালের শো-কেসে পুরস্কারের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। ছাত্র জীবনে অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। অতি সম্প্রতি পেলেন সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমির সম্মাণনা। যথেষ্ট উচ্ছসিত তিনি এই সম্মাণনায়। তবে হাসতে হাসতে এও জানালেন যে, এটিও তথাকথিত সাংস্কৃতিক হোমরা-চোমরারা ভালো চোখে দেখছেন না। বরং নানা আজেবাজে মন্তব্য ছড়িয়ে তার ইমেজ ক্ষুন্ন করতে কাজ শুরু করেছেন তারা।

শিল্পকলা একাডেমির সম্মাণনা ছাড়াও মালতি পাল সুরমা খেলাঘর, উদিচী শিল্পীগোষ্ঠী সিলেট জেলা শাখা থেকেও পুরস্কার এবং সম্মাণনা পেয়েছেন।

একসময় বাচ্চাদের গান শেখালেও এখন তিনি তাও বন্ধ করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সিলেটভিউকে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/এক

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন