আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

লাথি দিয়ে মাছ ফেলে দিলেন এসিল্যান্ড, ফেঞ্চুগঞ্জে ক্ষোভ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৫-১৩ ১৯:১৮:৪৭

ফরিদ উদ্দিন, ফেঞ্চুগঞ্জ প্রতিনিধি :: রবিবার (১২ মে) সকাল বেলা মাছের পসরা সাজিয়ে এসিল্যান্ড কার্যালয়ের পাশে বসেছিলেন মৎস্যজীবীরা। এসময় অফিসে প্রবেশ করছিলেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) সঞ্চিতা কর্মকার। অফিসে প্রবেশের পথে গাড়ি থামিয়ে এক ব্যবসায়ীকে মাছের ঝুড়ি সরাতে বলেন। এসময় মাছ ব্যবসায়ী লায়েক আহমেদ ‌‌‘দিদি সরিয়ে নিচ্ছি’ বলায় ক্ষেপে যান সঞ্চিতা কর্মকার। আমি কিসের দিদি-বলে তিনি লাথি দিয়ে লায়েক আহমেদ ও হাসান মিয়ার মাছের ঝুড়ি পাশের ড্রেনে ফেলে দেন। আচমকা সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার এমন আচরণে মৎস্য ব্যবসায়ীরা হতভম্ব হয়ে যান। এ ঘটনায় ক্ষোভ বিরাজ করছে উপজেলা জুড়ে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন- পিটাইটিকর, ছত্তিশ, বাঘমারা এলাকার অধিকাংশই মৎস্যজীবী। এরাই মাছের চাহিদার বড় অংশ পূরন করে থাকেন। তারা এসিল্যান্ড কার্যালয়ের ভিতরে গেলে তিনি আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারতেন। তা না করে বিরূপ আচরণ করেছেন। এ ঘটনায় তারা প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়ার কথা জানান।

এ অভিযোগের ব্যাপারে সহকারি কমিশনার (ভূমি) সঞ্চিতা কর্মকার সিলেটভিউকে বলেন, তারা মাছ নিয়ে আমার অফিসের ভিতরে ঢুকে যায়। বার বার নিষেধ করা হলেও তারা মানেন নি। মাছ ক্র‍য়-বিক্রয় ও দুর্গন্ধে অফিসে টেকা দায়।

মাছ লাথি দিয়ে ফেলে দেওয়া স্বীকার করে বলেন, কোনভাবেই আমি তাদের সরাতে না পেরে চুড়ান্ত রাগান্বিত হয়ে পড়েছিলাম। লাথি দিয়ে মাছ ফেলে দেওয়া ঠিক হয়নি। আমি তাদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করতে রাজি আছি।

কিন্তু একদিন পার হলেও বিষয়টির কোন সন্তোষজনক সমাধান না হওয়ায় আজ সোমবার (১৩ মে) উপজেলার সভায় বিষয়টি আলোচনায় আসে।

স্থানীয় সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজি বদরুদ্দোজা বলেন, এসিল্যান্ডের দুর্ব্যবহারের বিষয়টি আমি আলোচনায় তুলে কোন জবাব বা সমাধান পাইনি।

জানা যায়, কোন সমাধান না পেয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার প্রস্তুতি নিচ্ছেন স্থানীয় মৎস্যজীবী সম্প্রদায়।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ১৩ মে ২০১৯/এফইউ/পিডি

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন