আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

হবিগঞ্জের বাজারে 'মধু' মাসের হাওয়া

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৫-১৫ ১৪:১৪:২৯

কাজল সরকার, হবিগঞ্জ :: তাপ প্রবাহের দাপট আর ‘ফণী’র আতঙ্ক দেখিয়ে বিদায় নিল বৈশাখ। শুরু হলো ‘মধুমাস’ খ্যাত জ্যৈষ্ঠ। রসালো শাঁসালো হরেকরকম ফলের ঘ্রাণ আর কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়ার লাল বর্ণের প্রকৃতি নিয়ে হাজির হয়েছে জ্যৈষ্ঠ।

যার সৌরভে ভরে উঠেছে প্রকৃতি। সিঁদুরে রাঙা আম-লিচু, আর কাঁচাসোনা রঙের কাঁঠালের সাথে ফুলের সমারোহ প্রকৃতিকে যেন সাজিয়েছে এক অন্যরকম সাজে। শুধু মধু মাসের আগমনই ঘটেনি।

একই সাথে চৈত্র-বৈশাখের খরতাপে অতিষ্ঠ তৃষ্ণার্ত মানুষের প্রাণ জুড়াতে বাজারে উঠেছে হরেক রকমের ফল। নান ফলের মধুঘ্রাণে ভরে উঠছে বাজারের চারপাশ। যদিও সব ধরণের ফলেই দাম তুলনামূলকভাবে বেশি বলে দাবি ক্রেতাদের। তবে ব্যবসায়ীরা বলেছেন এখনও বাজারে ফলের প্রাচুর্যতা বাড়েনি। তাই দাম একটু বেশি।

হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরী বাজারে বসে ফলের সব চেয়ে বড় সমাহার। সেখানে বিভিন্ন জাতের আম, লিচু, কাটাল, আনারস, তরমুজসহ বাহারি ফলের সমাহার বসেছে। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন স্থানে ফুটপাতেও বসেছে ফলের মেলা। আবার ফলের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড়ও ছিলো চোখে পড়ার মতো। মিষ্টি এই ফলগুলো নতুন বাজারে আসার সব ধরণের ক্রেতারাই কম বেশি কেনার চেষ্টা করছেন। তবে বাজার ঘুরে দেখা যায় সব চেয়ে বেশি ভিড় ছিলে আম, লিচু ও কাঠালের দোকানে।

নবীগঞ্জের ক্রেতা মো. ইসমাইল হোসেন বাচ্চু বলেন, \\\"প্রশান্তির জন্য আল্লাহ তা-আলার পক্ষ থেকে তৃষ্ণা নিবারণের জন্য নানা রকমের রসালো শাঁসালো ফল-ফলারী আমাদের দান করেছেন। তবে সব চেয়ে বেশি মিষ্টিজাতীয় ফল হাওয়া যায় জ্যৈষ্ঠ মাসে। এ মাসে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচুসহ বিভিন্ন ধরণের ফল বাজারে আসে।\\\"

তিনি বলেন, \\\"হবিগঞ্জ আসছিলাম মূলত অন্য একটি কাজে। কিন্তু নতুন এই মিষ্টি ফলগুলো দেখে আর লোভ সামলাতে পারলাম না। তাই ভাবলাম পরিবার পরিজনের জন্য কিছু ফল নিয়ে যায়।\\\"

শহরের রাজনগর এলাকার বাসিন্দা মো. সাঈদ আলী বলেন, \\\"এখন রমজান মাস চলছে। এর মধ্যে প্রচন্ড গরমও। সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারে এই ফলগুলো খেলে শরীর অনেকটা ভালো থাকে। তাই দাম একটু বেশি হলেও নিতে আসছি।\\\"

ফল ব্যবসায়ি মো. আজগর আলী বলেন, \\\"এই ফলগুলো নতুন বাজারে এসেছে। তাছাড়া এখনও সব জায়গায় ফল পাঁকানি। ফল যখন বাজারে বেশি বেশি আসবে তখন এমনিতেই দাম কমে যাবে।\\\"




সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৫ মে ২০১৯/কেএস/এসডি

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন