আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং
শংকর দাস :: সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১০নং উত্তর ভাদেপাশা ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কুশিয়ারা নদী ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে ছয়ঘরী-বাগলাবাজার রাস্তা। এ রাস্তা দিয়ে ছয়ঘরী, বাগলা উত্তরপাড়া, বাগলা ছালিমকোনা, বাগলা দক্ষিনপাড়া গ্রামের কয়েক হাজার লোকজন চলাচল করেন।
গত বর্ষায় ছয়ঘরী-বাগলাবাজার ইটচলিং রাস্তার প্রায় দেড় কিলোমিটার নদীতে ভেঙে পড়েছে। এতে ঝুঁকিতে আছে এ এলাকার বসতবাড়িও।
এদিকে প্রতি বছরের বর্ষায় আতঙ্কে থাকেন নাদী পাড়ের বাসিন্দারা। নদীভাঙ্গনে বসত ভিটা হারিয়ে অন্তত ৫০ পরিবার অন্যত্র বাড়ি করেছেন। ভাঙ্গনরোধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় দীর্ঘদিন থেকে এ অবস্থা চলছে। বর্ষাকালে নদীর ভাঙ্গনে রাস্তা বিলীন হওয়াসহ বসতবাড়ি ও আবাদি জমি হুমকির মুখে পড়ছে। ফলে গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়াসহ সৃষ্টি হয়েছে সব হারানোর ভয়।
ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে দেখা যায়, নদীভাঙ্গনে রাস্তা সরু হয়ে গেছে। ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। রাস্তা ভেঙে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া কিছু কিছু বসত ঘরের উঠান ইতিমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। যেকোনো মুহূর্তে ঘরও চলে যেতে পারে নদীতে।
স্থানীয় বাসিন্দা অরুপ দাস বলেন, রাস্তা ভাঙায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে। নদী পাড়ের বাসিন্দারা খুব কষ্টে আছেন। অনেক পরিবার ভাঙনের ফলে জায়গা ছেড়েছে। বিভিন্নভাবে মানুষ ক্ষতিগ্রস্তও হয়েছে। দ্রুত এ ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে ভাদেপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ বলেন, ভাঙ্গনের ফলে রাস্তার অবস্থা বেহাল। বাড়ি ঘরও ঝুঁকিতে আছে। নদীপাড়ের আশপাশের অন্তত ৫০ পরিবার ভাঙনের মুখে আছেন।
তিনি বলেন, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপিও এ রাস্তা পরিদর্শন করেছেন। আমি উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে এবিষয়ে আলাপ করেছে। তবে খুব দ্রæত এর সংস্কার কাজ শুরু হবে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২০ মে ২০১৯/এসডি/এসডি