আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

বানিয়াচংয়ে বিদ্যুতের আসা-যাওয়া ‘খেলা’

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৬-১২ ১৮:২০:২৪

ফাইল ছবি

বানিয়াচং প্রতিনিধি :: বানিয়াচংয়ে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। বিদ্যুৎ এখন এই আসে, এই যায়। আর এ আসা-যাওয়ার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বানিয়াচংয়ের বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এবার ঈদের ছুটির দিনগুলোতেও ভয়াবহ মাত্রার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে স্থানীয়রাসহ শহর থেকে আসা চাকরীজীবিরাও ঈদের আনন্দ-উৎসব সঠিকভাবে করে যেতে পারেন নি।

ঘন ঘন বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার কারণে টিভি, ফ্রিজ, কম্পিউটারসহ বিভিন্ন ধরণের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ার আশংকা প্রকাশ করেছেন গ্রাহকরা।

বুধবার বিকাল ৩-৪টা পর্যন্ত এই রিপোর্ট লেখার সময় ১৫ মিনিট পরপর ৪ চার বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করেছে। তাছাড়া আকাশে মেঘের ঘনঘটা দেখা দিলেই বন্ধ করে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ, যার প্রভাবে বিভ্রাটে পড়ে কষ্ট পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের। 

বানিয়াচংয়ের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখন ঘণ্টায় নয়, প্রতি ২০ মিনিটে একবার বিদ্যুৎ আসছে আর যাচ্ছে। কোনো কোনো সময় বিদ্যুৎ গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আসে না।

পাইকপাড়ার বাসিন্দা সালেহীন মিয়া সিলেটভিউকে বলেন, ‘বানিয়াচংয়ে এখন ভোর থেকেই লোডশেডিং শুরু হয়। এ লোডশেডিং চলতে থাকে। প্রতি ১০ বা ২০ মিনিটে একবার করে বিদ্যুৎ আসে আবার চলে যায়।’

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দেশে তো বিদ্যুতের ঘাটতি নাই। তাহলে বিদ্যুৎ নিয়ে আমাদের সাথে কেন এমন আচরণ করা হচ্ছে? এখানে শুভঙ্করের ফাঁকি আছে বলে ধারণা করেন তিনি।  

ব্যবসায়ী অলিউর রহমান মুন্না বলেন, কাজ করতে বসলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। একদাশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম সঠিকভাবে করতে পারছিনা। বার বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করায় তার বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

ফেসবুক ভিত্তিক “লোডশেডিং মুক্ত বানিয়াচং চাই’’ গ্রুপের এডমিন নূরে আলম কিরণ জানান, রমজান মাসে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট হয়ে বানিয়াচংয়ের সচেতন জনগণকে নিয়ে আমরা মানববন্ধনের প্রস্তুতি নিলে ডিজিএম লোডশেডিং বন্ধের আশ্বাস দিয়ে আমাদেরকে অনুরোধ করে আন্দোলন থামিয়ে দেন। পরবর্তীতে আমাদের নিয়ে বিষয়টি আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এখনও পর্যন্ত উনি আমাদের সাথে কোনো আলোচনা করেন নি।

ইদানিং লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট হয়ে মানুষ আন্দোলনের প্রস্ততি নিচ্ছেন বলে তিনি জানান 

এ ব্যাপারে বানিয়াচং পল্লীবিদ্যুতের ডিজিএম প্রকৌশলী আমজাদ হোসেনের মুঠোফোনে বার বার ফোন করা হলেও ফোন ধরেন নি তিনি।   



সিলেটভিউ২৪ডটকম/১২ জুন ২০১৯/জেইউ/এসডি

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন