আজ শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ইং

হবিগঞ্জে পাওয়া গেল বিপন্ন প্রাণী ‘গন্ধগোকুল’

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৬-১৬ ১৬:১৮:৫৩

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :: হবিগঞ্জ শহরে আইইউসিএন ঘোষিত বিপন্ন প্রাণী ‘গন্ধগোকুল’র মা’সহ দুটি বাচ্চা কুঁড়িয়ে পাওয়া গেছে।

স্থানীয় লোকজন এই প্রাণীর সম্পর্কে ধারণা না থাকায় প্রথমে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। তবে মো. আমিুর রহমান তানিম নামে এক যুবকের প্রচেষ্টায় রক্ষা পায় প্রাণী দুটি।

শনিবার সকালে ও শুক্রবার দিবাগত রাতে শহরের শংকর বস্ত্রালয় এলাকায় এই দু’টিকে কুঁড়িয়ে পান স্থানীয় লোকজন।

মো. আমিুর রহমান তানিম জানান, শুক্রবার রাতে স্থানীয় লোকজন একটি গন্ধগোকুলের বাচ্চা পেয়ে এটিকে মেরে ফেলতে চান। কিন্তু তিনি গিয়ে এটিকে বাঁচিয়ে বাসায় নিয়ে রাখেন। পরে শনিবার সকালে আরো একটি বাচ্চা এবং শনিবার রাত ১১টার দিকে মাকে পাওয়ার সংবাদে তিনি ছুটে যান সেখানে। বর্তমানে মাসহ দু’টি বাচ্চাই তার কাছে আছে।

তানিম আরো জানান, বাচ্চা দুটির বয়স মাসখানেকের মতো হবে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এগুলো শারীরিকভাবে অনেকটা অসুস্থ্য। আপাতত কলা এবং আম খাওয়ানো হচ্ছে। শারীরিকভাবে একটু সবল হলে গন্ধগোকুলের এগুলোকে তিনি ছেড়ে দেবেন বলেও জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক প্রাণীবীদ ড. মোহাম্মদ ফারুক মিয়া বলেন, ‘ছবি এবং বাহ্যিক আকৃতি দেখে মনে হচ্ছে- এগুলো স্তন্যপায়ী ও মাংশাসী জাতীয় প্রাণী ‘গন্ধগোকুল’। এটি বাংলাদেশের একটি বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী। আইইউসিএন এই প্রাণীটিকে বিপন্ন ঘোষণা করেছে। প্রাণীটি সাধারণত ইদুর এবং মৃত মুরগী খেয়ে আমাদের পরিবেশকে রক্ষা করে।’

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)‘র সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, ‘বন-জঙ্গল উজাড় হয়ে যাচ্ছে বিধায় খাবারের খোঁজে লোকালয়ে চলে এসেছে। ফলে এখানেই বংশ বিস্তার করছে। আমাদের নিজেদের জন্য এদের বাঁচিয়ে রাখা দরকার। প্রাকৃতিক পরিবেশে বেড়ে উঠা এইসব প্রাণী বন ছেড়ে লোকালয়ে চলে আসাটা ভাবনার বিষয়।’

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রোটারিয়ান শামীম আহছান বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে এগুলোকে ‘খাটাস‘ বলা হয়ে থাকে। এরা প্রাকৃতির জন্য খুব উপকারী। গন্ধগোকুল বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ।’


সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৬ জুন ২০১৯/কেএস/এসডি

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন