আজ শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ইং

প্রেমের কারণে খুন হয়েছেন গোয়াইনঘাটের নির্মল

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৭-২৩ ১৯:৫৫:৩৬

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি ::  সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার আলোচিত নির্মল বিশ্বাস হত্য মামলার রহস্য ৬ দিনের মাথায় উদ্ঘাটন করেছে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ। প্রেম সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই নির্মলকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারনা সংশ্লিষ্টদের।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,  গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের নকশিয়ার পুঞ্জিতে ১৮ জুলাই বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে নিখিল বিশ্বাসের ছেলে নির্মল বিশ্বাসের গলা কাটা লাশ পাওয়া যায়। নিখিল জানান ১৭ জুলাই সকালে মটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় নির্মল। সে ভাড়ায় মটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। ১৭ জুলাই রাত ১২টার পরও নির্মল বাড়িতে ফিরেনি। ১৮ জুলাই বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে স্থানীয় লোকজন নকশিয়ার পুঞ্জির গভীর জঙ্গলে নির্মলের লাশ দেখতে পান।

পরে লাশটি উদ্বার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ। নিখিল বিশ্বাস অজ্ঞাতদের আসামী করে গোয়াইনঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (নং-২২/২০-৭-২০১৯)।

পুলিশ মামলার সূত্রধরে নকশিয়ার পুঞ্জির শিশিন্দ্র দাসের মেয়ে  কনিকা উরফে কনকা দাসকে গ্রেফতর করে। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের প্রতাপপুর গ্রামের কালা দাসের ছেলে কার্তিক দাস, মাটিখাফা গ্রামের বাবুল বিশ্বাসের ছেলে লিটন বিশ্বাস ও লুনি গ্রামের নগেন্দ্র দেবনাথের ছেলে সুবল দেবনাথকে গ্রেফতার করে। কনিকা দাস কনকা সিলেট বিজ্ঞ বিচারকের আদালতের ৬৪ দ্বারা জবান বন্দিতে নির্মল বিশ্বাস হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি  স্বীকার করে। তা দেওয়া তথ্য ভিত্তিতে উল্লেখিত আসামীদের গ্রেফতার করতে পারে পুলিশ।

এছাড়া গোয়াইনঘাট থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত হিল্লোল রায় ও গোয়াইনঘাট  থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই জুনেদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আসামীদের গ্রেফতার করে। অপরদিকে পৃথক অভিযানে সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌরসভা এলাকা থেকে ছিনতাই হওয়া মটর সাইকেল উদ্বারের খবর পাওয়া গেছে। অভিযান অব্যাহত থাকায় মটর সাইকেল উদ্ধারের বিস্তারিত রহস্য উদ্বঘাটন সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. আব্দুল জলিল বলেন পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের নকশিয়া পুঞ্জি হতে উদ্ধারকৃত লাশটির নাম নির্মল বিশ্বাস। তার পিতা নিখিল বিশ্বাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামী করে গোয়াইনঘাট থানায় একটি মামলাদায়ের করেছিলেন।

গোয়াইনঘাট থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) হিল্লোল রায়ের পৃথক অভিযানে আসামীদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত কনিকা দাস উরফে কনকা বিজ্ঞ বিচারকের আদালতে ৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে ঘটনার সাথে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। পাশাপাশি জানিয়েছেন, তার সাথে নির্মলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি সেই সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এর থেকেই বিরোধের সৃষ্টি।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ২৩ জুলাই ২০১৯/এএমএ/এক

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন