আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

অটোরিকশার জন্য দুইবন্ধু মিলে খুন করে নাঈমকে

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৮-১৭ ১৯:২৩:৪২

নিজস্ব প্রতিবেদক :: অটোরিকশা চুরি করতে গিয়ে দুই বন্ধু মিলে খুন করে অপর এক বন্ধুকে। পরে লাশ বস্তাবন্দি করে ফেলে যায় টিলার উপর। একদিন পর পুলিশ লাশ উদ্ধার ও ঘাতক দুই বন্ধুকে আটক করেছে।

শনিবার আদালতে আটক দুই বন্ধু স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দিতে তারা জানিয়েছে নাঈম আহমদ (১৫) নামের ওই বন্ধুর অটোরিকশা চুরি করে তারা। বিষয়টি দেখে ফেলায় গলায় গামছা পেচিয়ে শ^াসরুদ্ধ করে তাকে খুন করে। পরে কুমারপাড়া এলাকায় রিকশা ফেলে রেখে ব্যাটারি নিয়ে দক্ষিণ সুরমার একটি দোকানে বিক্রি করে।

নিহত নাঈম  নগরীর বালুচরের সোনাই মিয়ার কলোনির আব্বাস উদ্দিনের ছেলে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বালুচর লালটিলার উপর থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

আটককৃতরা হলো- নগরীর শাহীঈদগাহ হাজারীবাগের আবদুল মুমিনের ছেলে আবদুর রুকন ও একই এলাকার আবদুল করিম পিয়ারের ছেলে পারভেজ।

শনিবার রুকন ও পারভেজ সিলেট মহানগর হাকিম প্রথম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। আদালতের বরাত দিয়ে বিমানবন্দর থানার ওসি শাহাদত হোসেন জানান, নাঈমের অটোরিকশাটি চুরির সময় সে দেখে ফেলে। এসময় তারা নাঈমকে শ^াসরুদ্ধ করে খুন করে লাশ বস্তাবন্দি করে।

পরে লালটিলার উপর ফেলে আসে। চুরির পর অটোরিকশাটি শাহীঈদগাহ কুমারপাড়া এলাকায় ফেলে রেখে ব্যাটারি খুলে নিয়ে দক্ষিণ সুরমার একটি দোকানে বিক্রি করে দেয়।

ওসি শাহাদত হোসেন আরও জানান, রুকন ও পারভেজেরে স্বীকারোক্তি অনুযায়ী দক্ষিণ সুরমা থেকে রিকশার ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়েছে। ওই দোকানদারও আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার সকালে অটোরিকশা নিয়ে বাসা থেকে বের হয় নাঈম। এরপর আর সে বাসায় ফিরেনি। রাতে তার বাবা আব্বাস উদ্দিন বিমানবন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে পুলিশ নাঈমের বন্ধু রুকন ও পারভেজকে আটক করে। তাদের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নাঈমের লাশ উদ্ধার করা হয়।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ১৭ আগস্ট ২০১৯/ শাদিআচৌ

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন