আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

পরিবেশের বিপর্যয় থেকে পরিত্রাণ পেতে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিতে হবে-দিপক কান্তি পাল

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৯-১৭ ২২:১৫:০০


সিলেটঃ বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন  ট্রাস্ট-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব দীপক কান্তি পাল বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে। ফলে বৃষ্টি, গরম-শীত তার নির্দিষ্ট সময় হচ্ছে না, বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে অতিমাত্রায় তাপমাত্রা। এ ছাড়া নদীতে  বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য ফেলে নদীর পানিকে করা হচ্ছে দুষনীয়। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নতুন প্রজন্মের নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্য ও জীবন যাত্রাও হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। পরিবেশের বিপর্যয় থেকে পরিত্রাণ পেতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্য দিয়ে কাজ করতে হবে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়েরস্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড হেলথ প্রমোশন ইউনিট আয়োজিত জলবায়ু সহিষ্ণু স্বাস্থ্য অভিযোজন পরিকল্পনা বিষয়ক সিলেট  বিভাগীয়  কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মঙ্গলবার( ১৭ সেপ্টেম্বর) সিলেট সিভিল সার্জন অফিসের কনফারেন্স রুমে সিলেট বিভাগীয় পরিচালক  ডা. দেবপদ রায়ের সভাপতিত্বে জলবায়ু সহিষ্ণু স্বাস্থ্য অভিযোজন পরিকল্পনা বিষয়ক সিলেট বিভাগীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। উপ পরিচালক স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সিলেটের সিভিল সার্জন ডা: হিমাংশু লাল রায়-এর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পরিচালক ও সেক্রেটারি মো. মোক্তার আহমদ। এ ছাড়া অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপÍরের পরিচালক মনিটরিং এন্ড রিসার্চ প্রফেসর ডা. মো. ইকবাল কবির, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের  ডেপুটি সেক্রেটারি তানভির আহমদ, বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট-এর সহকারী পরিচালক শাকিলা ইয়াসমিন, পরিবার পরিকল্পনা সিলেট বিভাগের পরিচালক যুগ্ম সচিব মো. কুতুব উদ্দিন, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ইউনুছুর রহমান,  সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. তাহমিদুল ইসলাম, সিসিএইচপিইউ-এর মেহরুবা সারমিন, সৈয়দ ই্সতিয়াক আহমদ ও ডা. ফরিদুল ইসলাম লতিফি প্রমূখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন পরিসংখ্যানবিদ মো. মতিউর রহমান, গীতা পাঠ করেন ডা. বিনেন্দু ভৌমিক।

জলবায়ুসহিষ্ণু স্বাস্থ্য অভিযোজন পরিকল্পনা’র কর্মশালায় বক্তারা কর্মস্বাস্থ্য, অবকাঠামো, স্যানিটেশনসহ অন্যান্য বিষয়গুলো কমিউনিটির লোকজনদের নিয়ে সম্পন্ন করার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার কৌশল নির্ধারনের অভিমত ব্যক্ত করেন। কর্মশালায় অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, ভুমিকম্পের  প্রবণতাও বাড়ছে এবং সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিরসনে নদীকে দূষণমুক্ত ও দখলমুক্ত,কলকারখানার বর্জ থেকে বায়ু দূষণমুক্ত রাখার প্রচেষ্টা চালানোর আহবান জানানো হয়। একই সাথে যে কোন দূর্যোগে প্রাথমিকভাবে উদ্ধার কার্য্যক্রম পরিচালনার জন্য ভলান্টিয়ার তৈরিরও পরামর্শ প্রদান করা হয়।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯/প্রেবি/জেএসি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন