আজ শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ইং

ফলাফলের অপেক্ষায় সিলেট চেম্বার নির্বাচনের প্রার্থীরা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৯-২১ ১৯:৪৯:০৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :: ফলাফলের প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীরা ।চলছে ভোট গণনা ।তবে প্রার্থীদের সময় যেন পার হচ্ছেনা। উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে শেষ হয়েছে নির্বাচনের ভোট গ্রহণ।এখন অপেক্ষায় রয়েছেন ফলাফলের ।অবশেষে কে পরবেন বিজয়ের মালা এই জল্পনা কল্পনার শেষ হবে আজ রাতেই।কেন্দ্রের বাহিরে অপেক্ষমান রয়েছেন  শতশত ভোটার ও প্রার্থীরা ।


শনিবার সিলেটের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন সিলেট চেম্বারের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।
সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা শেষ হয় নগরীর ধোপাদিঘীরপাড়াস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে।
এখন শুরু হয়েছে ভোট গণনা, রাতেই ঘোষণা করা হবে ফলাফল।


চেম্বার সূত্রে জানা গেছে, এবারের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে ২২টি পরিচালক পদে প্রার্থী ছিলেন ৪১ জন। তন্মধ্যে অর্ডিনারি শ্রেণিতে ২৪ জন, এসোসিয়েট শ্রেণিতে ১০ জন, ট্রেড গ্রুপ শ্রেণিতে ৬ জন এবং টাউন এসোসিয়েশন শ্রেণিতে একজন প্রার্থী রয়েছেন। টাউন এসোসিয়েশন শ্রেণিতে শমসের জামাল একমাত্র প্রার্থী হওয়ায় এ পদে নির্বাচনের প্রয়োজন পড়েনি। তাকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড। বাকি ৪০ প্রার্থী ২১টি পরিচালক পদের জন্য আজ নির্বাচনে লড়ছেন। নির্বাচনে এবার অর্ডিনারি শ্রেণিতে ১৪১৩ জন, এসোসিয়েট শ্রেণিতে ১০৪০ জন, ট্রেড গ্রুপে ১১ জন ও টাউন এসোসিয়েশন শ্রেণিতে একজন ভোটার রয়েছেন।


জানা গেছে, এবার চেম্বার নির্বাচনে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। একটি হচ্ছে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ, অপরটি সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদ। অর্ডিনারি শ্রেণিতে উভয় প্যানেলের ১২ জন করে প্রার্থী আছেন। এছাড়া এসোসিয়েট শ্রেণিতে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের ৬ জন ও সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদের ৪ জন প্রার্থী, ট্রেড গ্রুপ শ্রেণিতে উভয় প্যানেলের ৩ জন করে ৬ জন প্রার্থী লড়ছেন।


সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের নেতৃত্বে আছেন এহতেশামুল হক চৌধুরী, সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদে আবু তাহের মোহাম্মদ শোয়েব। গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে এ দুটি প্যানেল নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে এসেছে। সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ ‘পরিবারতন্ত্র’ থেকে সিলেট চেম্বারকে মুক্ত করার বিষয়টি সামনে রেখে প্রচারণা চালিয়েছে, অন্যদিকে সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদ সিলেটকে ব্যবসাবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলা ও ব্যবসায়ীদের সুযোগসুবিধা বৃদ্ধির বিষয়ে প্রচারণা চালায়।


প্রসঙ্গত, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও আইনি জটিলতায় জড়িয়ে সিলেট চেম্বারের সর্বশেষ কমিটি নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন আয়োজন করতে পারেনি। পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গেল ৪ জুন ওই মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বাতিল করে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদকে প্রশাসক নিয়োগ দেয়। নির্বাচন আয়োজনে তাঁকে ১২০ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়। দায়িত্ব নিয়ে ১৭ জুন নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড গঠন করেন আসাদ। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খানকে চেয়ারম্যান করে গঠিত কমিটিতে সদস্য করা হয় এডভোকেট সৈয়দ শামীম আহমদ ও এডভোকেট জুনেল আহমদকে।


গত ২ জুলাই ঘোষণা করা হয় নির্বাচনী তফসিল। তফসিলে ২১ সেপ্টেম্বর নির্বাচনে ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারণ করা হয়। গত ৮ আগস্ট সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করা হয় পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা। তবে এর আগেই নির্বাচন স্থগিত চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেন চেম্বার সদস্য কামিল আহমদ। রিটের প্রেক্ষিতে নির্বাচন দুই মাসের জন্য স্থগিত করে চেম্বারে প্রশাসক নিয়োগ কেন অবৈধ হবে না, জানতে চায় উচ্চ আদালত। আদালতের নির্দেশনা ৮ আগস্ট রাতে এসে পৌঁছায় চেম্বারে। এর ফলে অনিশ্চয়তা দেখা দেয় নির্বাচন নিয়ে। আদালতের নির্দেশনার পর চেম্বার জজে আপিল করা হয়। পরে ওই রিট খারিজ করেন আদালত। এতে চেম্বার নির্বাচনের পথ সুগম হয়।



সিলেটভিউ২৪ডটকম/২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯/আরআই-কে/এসডি/জেএসি

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন