আজ শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ইং

একজন ‘সৌভাগ্যবান’ লুৎফুর

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১২-০৬ ০০:০১:০৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :: তিনি ছিলেন দেশের ঐতিহাসিক গণপরিষদ সদস্য। এরপর দেশের রাজনীতির অনেক চড়াই উৎরাই দেখেছেন বর্ষিয়ান লুৎফুর রহমান। সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নের বড় হাজীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করা লুৎফুর পরে সিলেট নগরীর আম্বরখানা বড়বাজারে থিতু হন। চালিয়ে যেতে থাকেন আইনপেশা। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতেও ছিলেন মোটামুটি সক্রিয়।

২০১১ সালে গঠন করা হয় সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি। ৭১ সদস্যবিশিষ্ট সে কমিটির ১ম সহ-সভাপতি ছিলেন তিনি। কমিটি গঠনের পর বয়সের কারণে দলীয় কর্মসূচিতে তেমন একটা সক্রিয় ছিলেন না। ২০১১ সালের পর থেকে রাজপথে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের অনেক জ্যেষ্ঠ নেতা। সেসময় সন্ত্রাস, নৈরাজ্যের প্রতিবাদ আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিতে মিছিল, সভা আর সমাবেশে সক্রিয় ছিলেন ওইসব নেতা। কিন্তু সেসবে তেম একটা দেখা যায়নি লুৎফুর রহমানকে।

আওয়ামী লীগের যখন সুসময় তখন বিদায় নেন দলের শীর্ষ নেতা। ২০১৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন কমিটির সভাপতি আব্দুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ান। আর এরপর থেকেই ‘ভার’-এ নুয়ে যেতে থাকেন লুৎফুর রহমান। প্রথমে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন। এর পরে লাভ করেন সিলেট জেলা পরিষদের প্রশাসকের পদ। সুফিয়ানের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক হিসেবে তাকে নিযুক্ত করেন সরকার। যুক্তরাজ্য প্রবাসী এক নেতার সহযোগিতায় তিনি এ পদ লাভ করেছেন সেটা জানান দেন অনেকের সামনে।

বছর ঘুরার পরই সে পদের ‘ভার’ থেকে মুক্তি মেলে তার। ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। এরপর থেকে দলের কর্মসূচির চেয়ে জেলা পরিষদেই বেশি মনোযোগী ছিলেন তিনি। নিয়মিত যেতে জেলা পরিষদ কার্যালয়ে।

আওয়ামী লীগের দায়িত্বে আর থাকতে চান না এরকম বক্তব্য দিয়েছেন একাধিকবার। সর্বশেষ এ বছরের শুরুতে সরকারি এক সভায় বলেছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের পদ ছাড়তে চান তিনি। তবে ছাড়ি ছাড়ি করেও ছাড়া হয়নি, সে পদ এবার পোক্ত হয়েছে তাঁর। অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান দীর্ঘদিন পর হওয়া সম্মেলনে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার আর্শিবাদে লাভ করেছেন স্থায়ী দায়িত্ব।

সত্তরোর্ধ্ব লুৎফুর রহমানের জীবনের পড়ন্ত বেলায় সৌভাগ্যের ছোঁয়া পেয়েছেন দলের সুসময়ে। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগকে নতুন কিছু দিতে এ দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। এখন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করতে পারেন সেটা সময় জানিয়ে দেবে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/৬ ডিসেম্বর ২০১৯/পিডি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন