বিশ্বনাথে আহত যুবলীগ নেতার অবস্থা আশঙ্কাজনক, মামলা দায়ের

নিজস্ব প্রতিবেদক, বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষে শালিস করতে গিয়ে গুরুত্বর আহত হওয়া রামপাশা ইউনিয়ন যুবলীগ সদস্য আসাদ মিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। গত শুক্রবার বিকেলে পূর্ব বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে শালিস করতে গিয়েই আহত হন আসাদ। এঘটনায় শনিবার আসাদ মিয়ার পিতা ফিরোজ আলী বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ৮ (তাং ৭.১২.১৯ইং)।

মামলা দায়েরের পর শনিবার রাতেই থানা পুলিশ খালেদ মিয়া (২১) ও শাহেদ মিয়া (২৫)’ নামের দুই এজাহার নামীয় অভিযুক্ততে গ্রেফতার করেছেন থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা রামচন্দ্রপুর গ্রামের কবির মিয়ার পুত্র। মামলার অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন- কবির মিয়ার পুত্র জাহেদ মিয়া (১৮), জাবেদ মিয়া (২৩) মেয়ে রুমি বেগম (২৮), একই গ্রামের মৃত ছিদ্দেক আলীর পুত্র সেবুল মিয়া (৪৫), তার পুত্র শরীফ মিয়া (২২), স্ত্রী সালেহা বেগম (৪০), ছিদ্দেক আলীর মেয়ে গেদনী বেগম (৪০), আলী হোসেনের স্ত্রী মারজিনা বেগম (৩৫)।

জানা যায়, সম্প্রতি ফুটবল খেলা নিয়ে রামচন্দ্রপুর গ্রামের সেবুল মিয়ার ভাগনা জাহেদ আহমদের সঙ্গে আসাদ মিয়ার ভাতিজা সাঈদ মিয়ার মারামারি হয়। বিষয়টি উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে স্থানীয় লোকজন আপোষ-মিমাংসার মাধ্যমে শেষ করার জন্য  গত শুক্রবার আপোষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু শুক্রবার সকালে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে ওই দিন বেলা ৩টায় উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে শালিসকারী আসাদ মিয়াসহ দু’পক্ষের অনন্ত ১০জন আহত হন। খবর পেয়ে থানা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। গুরুত্বর আহত অবস্থায় আসাদ মিয়া (২৬) ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আছিয়া বেগম (২৩)’কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আসাদ মিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরবর্তীতে তাকে সিলেট নগরীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালের আইসিইউ’তে ভর্তি করা হয়। গত রোববার আসাদ মিয়ার মাথায় অস্ত্রপাচার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।

মামলা দায়েরের সত্যতা ও এজহারনামীয় দুই অভিযুক্ততে গ্রেফতারের সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, মামলার অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১০ ডিসেম্বর ২০১৯/পিবিএ/ডিজেএস

আপনার মতামত দিন