আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

মনির আহমদ একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু-প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে বড় চেয়ারম্যান!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০১-২৩ ১২:৩৬:৪৭

রাশেদুল হোসেন সোয়েব :: দক্ষিণ সুরমার মনির আহমদ একাডেমীর প্রিন্সিপাল উজ্জ্বল কুমার সাহার রুমে জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবির পাশেই অনেক বড় আকারের ফ্রেইমে ঐ একাডেমীর চেয়ারম্যান মনির উদ্দিন আহমদের ছবি টানানো রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয় এলাকাবাসীও।

বিষয়টি খবর পেয়ে প্রতিবেদক এ ব্যাপারে খোঁজ নিতে মনির আহমদ একাডেমীতে গেলে প্রবেশ মুখে গেইটম্যান পরিচয় জানতে চান। তখন সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পর সে প্রিন্সিপালের সাথে মোবাইলে কথা বলে ৫ মিনিট পরে যাওয়ার জন্য প্রতিবেদককে জানায়।

এর ৫ মিনিট পর গিয়ে দেখা যায়, চেয়ারম্যানের ছবিটি প্রিন্সিপালের টেবিলের উপর রাখা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি দুটি উপরে টানানো আছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে প্রিন্সিপালের কক্ষে বঙ্গবন্ধু-প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে বড় আকারে টানানো থাকা একাডেমীর চেয়ারম্যানের ছবির প্রমান পাওয়া গেছে।

চেয়ারম্যান মনির উদ্দিন আহমদের ছবি অনেক বড় আকারের ফ্রেইমে এবং সে ছবিটি শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবির সাথে টানানো ছিল কেন জানতে চাইলে তখন প্রিন্সিপাল উজ্জ্বল কুমার সাহা জানান, চেয়ারম্যানের ছবিটি এখানেই ছিল সেটা তো উপরে টানানো ছিলনা। ছবিটি বড় ফ্রেইমে বাধানো কেন এটা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বড় ছবি তাতে কি হয়েছে এটাতো কোন অসুবিধা নয়।

তবে বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে প্রিন্সিপাল উজ্জ্বল কুমার সাহার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু-প্রধানমন্ত্রীর ছবি আগে থেকেই তার কক্ষে লাগানো ছিল। পরে সেখানে একাডেমির প্রতিষ্ঠাতার ছবি লাগানোর পরিকল্পনা হলে ছবিটি ফ্রেম করে আনা হয়। আনার পর দেখা যায় বঙ্গবন্ধু-প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে চেয়ারম্যানের ছবিটি বড়। তাই সেটি নামানো হয়েছে। পরে ছোট আকারে ফ্রেম করে ছবিটি লাগানো হবে।

এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু চৌধুরীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আপনার কাছ থেকে খবরটি জানতে পেরে আমি আজই এ ব্যাপারে শিক্ষা কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে দেখছি। জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবির সাথে চেয়ারম্যানের ছবি টানানোর কোন নিয়ম নেই এবং ছবি বড় করে রাখারও কোন নিয়ম নেই।

দক্ষিণ সুরমা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগের জন্য মোবাইলে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৩ জানুয়ারি ২০২০/আরএইচএস/ডিজেএস

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন