আজ শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ইং

সিলেটে খুন করে গুম: প্রধান আসামির স্বীকারোক্তি, দু’জন রিমান্ডে

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৭-০৮ ২০:৩০:৫১

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক :: সিলেটের বিয়ানীবাজারে এক ব্যবসায়ীকে খুন করে মরদেহ গুমের ঘটনার মামলায় প্রধান আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া অপর দুই আসামিকে পুলিশ দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে।

বিষয়টি সিলেটভিউকে জানিয়েছেন সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফর রহমান।

তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত তিন আসামিকে আজ আদালতে হাজির করা হয়। মামলার প্রধান আসামি আমির উদ্দিন ওরফে আলী হোসেন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন। আর পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে অপর দুই আসামি হেলাল আহমদ ও আব্দুস শহীদকে দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

জানা গেছে, বিয়ানীবাজারের চারখাইয়ের আদিনাবাদ শেখপাড়া সাকিনের মৃত রকিব আলীর ছেলে কামাল আহমদ (৪২)। চারখাই বাজারে ‘কামাল স্টোর’ নামে তার একটি পাইকারি মুদি দোকান ছিল। গত বছরের ১০ আগস্ট দোকান থেকে তিনি বাড়িতে ফিরেননি। সন্ধান না পাওয়ায় ২০ আগস্ট তার বড় ভাই জালাল আহমদ বিয়ানীভাজার থানায় জিডি করেন।

পরে জালাল আহমদ ওই বছরের ৩ ডিসেম্বর সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি ওই দোকানের কর্মচারী আমির উদ্দিন ওরফে আলী হোসেনসহ (২৩) ৯ জনের নামোল্লেখ করেন। আদালত অভিযোগটি তদন্ত করতে নির্দেশ দেন বিয়ানীবাজার থানা পুলিশকে। জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জকিগঞ্জ সার্কেল) সুদীপ্ত রায়।

তদন্ত চালিয়ে সূত্র খুঁজে পান ওই পুলিশ কর্মকর্তা। গতকাল মঙ্গলবার সিলেটের কানাইঘাটের দনা ইসলামপুর থেকে দোকানের কর্মচারী আমির উদ্দিন ওরফে আলী হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি কামাল আহমদকে খুনের কথা স্বীকার করেন।

আমির উদ্দিনের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ জানায়, গেল বছরের জুন মাসে ব্যবসায়ী কামাল আহমদের অগোচরে দোকান থেকে ৮ লাখ টাকার মালামাল হেলাল আহমদের কাছে বিক্রি করে দেন আমির। বিষয়টি টের পেয়ে টাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন। এজন্যই তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন কর্মচারী আমির উদ্দিন, মালামাল ক্রয়কারী হেলাল আহমদ, আলী আকবর, আলিম উদ্দিন, আব্দুস শহিদ ও জুবেদ আহমদ।

পরে ওই বছরের ১০ আগস্ট কামাল আহমদকে অপহরণ করে বিয়ানীবাজারের আলীনগর ইউপির কনকলস সাকিনস্থ তার নতুন বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে হত্যার পর প্লাস্টিকের ড্রামের মধ্যে মরদেহ ঢুকিয়ে পার্শ্বস্থ ব্রিকফিল্ডের ডোবায় ফেলে রাখা হয়। পুলিশ ওই ডোবা থেকে ১৫টি হাড় উদ্ধার করেছে। পরে অভিযান চালিয়ে হেলাল আহমদ ও আব্দুস শহীদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আমির উদ্দিন কানাইঘাটের আর হেলাল ও শহীদ বিয়ানীবাজারের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/৮ জুলাই ২০২০/শাদিআচৌ/আরআই-কে

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন