সিলেটে ঘুষিতে ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ হত্যা

আদালতে হাসনুরের স্বীকারোক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভাড়ার টাকা নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে সিএনজি অটোরিকশাচালক নোমান হাসনুর ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ আহমেদকে ঘুষিদেন। এরপর মাঠিতে লুটিয়ে পড়েন ব্যাংকার মওদুদ। হত্যার কথা আদালতে স্বীকার করেছেন মামলার প্রধান আসামি সিএনজি অটোরিকশাচালক নোমান হাসনুর। হত্যার ঘটনাটি সিএনজি অটোরিকশা চালক হাসনুর একাই ঘটিয়েছেন বলে আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিতে উল্লেখ করেন।

চারদিনের রিমান্ড শেষে পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করলে তিনি ১৬৪ ধারার জবানবন্দীতে আদালতকে জানান, তার সাথে ব্যাংক মওদুদের কোন বিরোধ ছিলো না। মওদুদ কে তিনি চিনতে না। ভাড়া নিয়ে কথাকাটাকাটির জেরে ব্যাংকার মওদুদ আহমেদকে জোরে ঘুষি মারলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। অবস্থা দেখে ভয়ে তিনি ওখান থেকে পালিয়ে যান। পরে খবর পান মওদুদ মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক সাইফুর রহমান এই জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, জবানবন্দি রেকর্ডের পর আসামি নোমান হাসনুরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। জবানবন্দিতে হাসনুর নিজের দোষি স্বীকার করেছেন। তিনি একাই ঘটনাটি ঘটিয়েছেন বলে আদালতকে জানান।

জানা যায়, ব্যাংকার মওদুদ আহমেদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি নোমান হাসনুর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। সেদিন পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করলে আদালত ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড চলাকালে প্রথমে ১৬১ ধারায় হত্যার স্বীকারোক্তি দেন নোমান হাসনুর। বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করলে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন ১৬৪ ধারায়।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর প্রাণকেন্দ্র কোর্ট পয়েন্টের সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডে হত্যা করা হয় মওদুদ আহমেদকে। তিনি জৈন্তাপুরের হরিপুর গ্যাস ফিল্ড অগ্রণী ব্যাংক শাখার সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) ছিলেন। হত্যার পর সিএনজি অটোরিকশাচালক নোমান হাসনুরকে প্রধান আসামি করে সিলেট কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বড় ভাই।


সিলেট ভিউ ২৪ ডটকম/পিটি-৫

আপনার মতামত দিন