আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং
সিলেট, শনিবার, ২৪ জানুয়ারি ২০১৫ :: বাংলা গানের জনপ্রিয়তম কন্ঠশিল্পী কনকচাঁপা। সংগীত জগতে তিন দশকের বেশী সময় ধরে তার বিচরণ। চলচ্চিত্র, আধুনিক, নজরুল সঙ্গীত, লোকগীতিসহ প্রায় সবধরনের বাংলা গানে সমান পারদর্শী জাদুকরী কন্ঠের এই শিল্পী গান শুনিয়ে মুগ্ধ করে রেখেছেন এদেশের মানুষকে। সুরেলা কন্ঠ দিয়েই আসন করেছেন কোটি কোটি শ্রোতার হৃদয়ে। ১০ বছর পর গত বছর ঈদুল ফিতরে বাজারে আসে তার মৌলিক একক এলবাম ‘আড়ালে’। সাদাসিধে জীবনের অধিকারী এই গুণী শিল্পী নিজেকে কন্ঠশ্রমিক হিসেবেই পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন। গানের পাশাপাশি একজন লেখক হিসেবে তার সুখ্যাতি রয়েছে। সিলেটভিউ২৪ডটকম’কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে কনকচাঁপা জানিয়েছেন তার খুটিনাটি অজানা অনেক তথ্য। সাক্ষাতকারটি নিয়েছেন সিলেটভিউ২৪ডটকম’র স্টাফ রিপোর্টার রাশেদীন ফয়সাল।
জন্মদিন জন্মস্থান
১১ সেপ্টেম্বর, ঢাকা।
স্কুল-কলেজ
শান্তিবাগ তেঁতুলতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়, তাজউদ্দিন আদর্শ বিদ্যালয়, মাদারটেক আব্দুল আজিজ উচ্চ বিদ্যালয়, ভিকারুন্নেসা নুন স্কুল এন্ড কলেজ।
প্রিয় মানুষ
বাবা মা, সন্তান, নাতনী, স্বামী- প্রিয় মানুষ গুণে শেষ হবে না। তবে ভীষণ প্রিয় মানুষ নবীজী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (স.)।
সারারাত গল্প করার মত বন্ধু
স্কুলের বন্ধু আফরিন রুমা ও কন্যা ফারিয়া (যদিও তার সাথে একটু পরপর ঝগড়া হয় মতের অমিলের জন্য) আর ছিলেন শ্বাশুড়ী।
আবার জন্মালে
কৃষকের বউ নয়- নারী কৃষক হতে চাই।
প্রথম দর্শনের ভাললাগা
বলা যাবে না। গানে হলে হৈমন্তী শুক্লা আমার প্রথম প্রেম।
ভূতে বিশ্বাস করেন ?
আমি ছাড়া পরিবারের সবাই ভূতে বিশ্বাস করে, দেখে এবং শোনে। তবে নিজেকে মাঝে মধ্যে ভূত বলেই মনে হয়।
পছন্দের খাবার
বাংলাদেশের সব সাধারণ আর সহজলভ্য খাবার। আমি বাঁচার জন্য খাই- খাওয়ার জন্য বাঁচি না।
কোন শব্দটা বেশী ব্যবহার করেন
আলহামদুলিল্লাহ, ইনশাআল্লাহ, মাশাআল্লাহ আর উফ।
কার ছবি সর্বক্ষণ হৃদয়ে রাখেন
সৃষ্টিকর্তার কথা।
জীবনে পাওয়া শ্রেষ্ঠ উপহার
আল্লাহতায়ালার দেয়া জীবন, সন্তান আর শ্রোতাদের ভালবাসা।
আনন্দের দিন
যেদিন প্রথম মা হলাম।
দুঃখের দিন
যেদিন বাবা চলে গেলেন।
প্রথম প্রেম
বলা যাবে না- তবে নিঃশ্বাস আমার প্রথম প্রেম।
একদিনের প্রধানমন্ত্রী হলে
প্রথমেই নিশ্চিত করবো আর যেন এখান থেকে চলে যেতে না হয়, তারপর ভেবে চিন্তে অঢেল সময় নিয়ে ... হা হা হা ।
রাগ হলে কি করেন?
রাগ হলে রেগে যাই এবং অবশ্যই সর্বোচ্চ রেগে হেরে যাই। হি হি হি।
প্রিয় সুখের স্মৃতি
পুরো জীবনে সুখস্মৃতি ছড়ানো। আলাদা করে আসলে কি বলা যায়। আমার গাছে একটা ফুল হাসলেও মনে সুখ ভর করে- আলহামদুল্লিাহ।
প্রিয় দুঃখের স্মৃতি
ফারিয়াকে বিয়ে দেয়ার অনেকদিন পর বুঝেছিলাম এটা আসলে অনেক দুঃখের! যেদিন বুঝলাম মেয়েটা পর হয়ে গেছে সেদিন আসল দুঃখটা পেয়েছিলাম।
শেষ ইচ্ছা
শেষদিন পর্যন্ত কর্মক্ষম থাকা
সিলেটভিউ২৪/আরএফ