আজ বুধবার, ০৮ মে ২০২৪ ইং

ঢলুবাঁশের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে সিলেটের ঐতিহ্য!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-০১-১১ ১১:৪৮:৩৯

তামিমুল করিম হৃদয় :: চুঙ্গা পিঠা সিলেটিদের ঐতিহ্যবাহী খাবার। আগেকার দিনে নতুন জামাইয়ের আপ্যায়নে চুঙ্গা পিঠা দুধের মালাই না থাকলে সেটা লজ্জার বিষয় ছিল। প্রতি বছর শীত মৌসুমে ভাপা, পুলি , মালপো পিঠার, সাথে পাল্লা দিয়ে চুঙ্গা পিঠাও স্থান পায়।

পিঠাটি এককালে সিলেটের পাহাড়ি আদিবাসীদের প্রিয় হলেও পরবর্তিতে এ খাবার পাহাড়ি আদিবাসীদের আস্তানা ছেড়ে চলে এসেছে সিলেটবাসীদের ঘরে। তবে আগে অনেক বেশি হলেও এখন কিছুটা কম দেখা যায়।

এই পিঠা তৈরি করতে প্রয়োজন হয় বিরইন চাল, নির্দিষ্ট জাতের বাঁশ। ভাল ভাবে চাল ভিজিয়া নরম করে বাঁশের চুঙ্গার মধ্যে ভরে খরকুটা দিয়ে পুড়িয়ে এই পিঠা তৈরি করা হয়। গোলাকার আকৃতির এই পিঠা দুধের মালাই, খেজুরের গুড় ও দুধের সর দিয়ে খেতে সুস্বাদু এবং সহজ পাচ্যও বটে।

লম্বা গোলাকার আকৃতির এই পিঠা দুধের মালাই, খেজুরের গুড় ও দুধের সর দিয়ে খেতে সুস্বাদু । পিঠা তৈরি করতে প্রয়োজন হয় বিরইন (বিন্নি) চাল, নির্দিষ্ট জাতের বাঁশ। ভালভাবে চাল ভিজিয়ে নরম করে বাঁশের চুঙ্গার মধ্যে ভরে খরকুটা দিয়ে পুড়িয়ে এই পিঠা তৈরি করা হয়।

তবে বাঁশের অভাবে ঐতিহ্য বহনকারী এই পিঠা অনেকটাই বিলুপ্তির পথে। এর অন্যতম উপকরণ হচ্ছে ঢলুবাঁশ। বনাঞ্চল উজাড় হয়ে হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশ। ঢলুবাঁশ ছাড়া চুঙ্গাপিঠা তৈরী করা যায়না। কারণ ঢলুবাঁশে এক ধরনের তৈলাক্ত পদার্থ রয়েছে, যার সাহায্যে বাঁশের চুঙ্গা আগুনে পুড়েনা। এ বাঁশে অত্যধিক রস থাকায় আগুনে না পুড়েই ভেতরের পিঠা আপনা আপনি সিদ্ধ হয়।

ঢলুবাঁশের চুঙ্গা দিয়ে ভিন্ন স্বাদের পিঠা তৈরি করা হয়। কোনো কোনো মহিলা চুঙ্গার ভেতরে বিন্নি চাল, দুধ, চিনি, নারিকেল ও চালের গুঁড়া দিয়ে পিঠা তৈরি করেন। পিঠা তৈরি হয়ে গেলে মোমবাতির মতো চুঙ্গা থেকে আলাদা হয়ে যায়।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১১জানুয়ারি২০১৭/টিকেআর/এএএন

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন