আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

সিলেট সীমান্ত দিয়ে দেশ ছেড়েছে বনানীর ধর্ষণ মামলার আসামিরা!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-০৫-১১ ১২:২৩:১৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বনানীর জন্মদিনের পার্টিতে দাওয়াত করে দুই তরুণীকে ধর্ষণ মামলার আসামীরা এখন কোথায় এ নিয়ে বিতর্ক চলছে। মামলা দায়েরের প্রায় এক সপ্তাহ হতে চললেও আসামী ধরা কিংবা তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। ধর্ষণের শিকার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী দুই তরুণী বিভিন্ন ধরনের হুমকির মুখে চরম আতঙ্কে রয়েছেন। পালিয়ে থাকা ধর্ষণ মামলার আসামি ও তাদের স্বজনরা তরুণীদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন তারা।

অনেকেই ধারণা করছেন আসামিরা এরইমধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, আসামিদের গ্রেফতারের জন্য যেভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে, তাতে তারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতেও পারে।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, আকাশ পথে না পেরে ধর্ষণ মামলার আসামিরা সীমান্ত পথে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে। এরইমধ্যে সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্ত এলাকা দিয়ে কয়েকদফা পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে আসামিরা।

একটি গোয়েন্দা সংস্থার দায়িত্বশীল সুত্রে জানা যায়, ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত মূল আসামিরা এরইমধ্যে সিলেট এলাকার সীমান্ত  পাড়ি দিয়েছে। তবে অন্যরা  ঢাকা ও ঢাকার বাইরে আছে। কেউবা নিজের পরিচয় গোপন রেখে আত্মগোপনে রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) উপকমিশনার শেখ নাজমুল আলম বলেন, ‘আসামিরা তো পালানোর চেষ্টা করবেই। আমরাও বসে নেই। তাদের গ্রেফতার করার জন্য সব কৌশলই গ্রহণ করা হয়েছে।’

বনানীর ধর্ষণ মামলার আসামিদের অবস্থান বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের জনসংযোগ বিভাগের উপ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান জানান, ‘তাদের পালানোর সুযোগ খুবই কম। বৈধ পথে পালানোর সুযোগ অনেক আগেই আমরা বন্ধ করে দিয়েছি। তবে অন্য কোনও পথে পালানোর তথ্য আমাদের কাছে নেই।’

এদিকে, এত দিনেও আসামিরা গ্রেফতার তো দূরের কথা তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ভুক্তভোগী দুই তরুণী।

উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ জন্মদিনের পার্টিতে আমন্ত্রণ করে ওই দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গত শনিবার রাতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এতে সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ, বিল্লাল হোসেন, সাদনান ও সাকিফ নামের ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, জন্মদিনের পার্টিতে দাওয়াত করে হোটেলে নেওয়ার পর সাফাত ও নাঈম হোটেলের একটি কক্ষে নিয়ে রাতভর দুই তরুণীকে আটকে রেখে মারধর এবং হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। আসামিদের অপর তিনজন ধর্ষণে সহায়তা ও ভিডিও ধারণ করে।

বাংলা ট্রিবিউন থেকে তথ্য সংগ্রহীত।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১১ মে ২০১৭/শাদিআচৌ/এমকে-এম

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন