আজ শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ইং

কোয়েল পাখির খামার করে স্বাবলম্বী গোয়াইনঘাটের আকলিমা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-০৭-১৬ ১৫:০০:০৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, গোয়াইনঘাট ::   আকলিমা বেগম গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের আংগারজুর গ্রামের হাফিজ মোঃ হেলাল উদ্দিনের সহধর্মীনি। তিনি ৩ সন্তানের জননী। হাফিজ হেলাল উদ্দিন বিশ্বনাথ উপজেলার ইলামের গাঁও পূর্ব জামে মসজিদে দীর্ঘ ১৩ বছর থেকে ইমামতি করে আসছেন। ইমামতি করে সংসার পরিচালনা করা তার পক্ষে কষ্টসাধ্য ছিল।

এমনি সময় তাহার পাশে দাড়ান তাহার সহধর্মীনি আকলিমা বেগম। আকলিমা বেগম সংসার খরচে তার স্বামীকে সহযোগিতার জন্য একটি কোয়েল পাখির খামার করার উদ্যোগ নেন।

২০১৫ সালের শেষের দিকে বাজার থেকে ২০০ টাকায় কোয়েল পাখির ১ শত ডিম ক্রয় করেন। প্রথমে ওই ডিম গুলোকে দেশি মোরগ দিয়ে ফুটানোর চেষ্ঠা করেন। এতে ১৮ দিন পর ১ শত ডিম থেকে বাচ্ছা পান ৪০টি। ওই ৪০টি বাচ্ছাকে যথাযথভাবে পালন করে ডিম পাড়ার উপযোগী করে তুলেন। পাখিগুলি ডিম পাড়া শুরু করলে প্রতিদিন তিনি ডিম পান ৪০টি।

তিনি ঘরের অব্যবহৃত মিস্রিফকে ডিম থেকে বাচ্ছা ফুটানোর লক্ষ্যে ওই মিস্রিফর ভিতর ২টি হারিকেন, একটি ডিজিটাল থার্মমিটার ব্যবহার করেন। ধিরে ধিরে তার ডিম পাড়ার উপযোগি হয়ে ১২০টি কোয়েল। তিনি প্রতি সপ্তাহের ডিম একত্রিত করে ওই মিস্রিফে বাচ্ছা ফুটানোর জন্য রাখেন। তিনি কোয়েলের বাচ্ছা ফুটানোর পর ১০ দিন আলোর মধ্যে রাখেন। পরবর্তীতে কোয়েলগুলি প্রকৃতির নিয়মেই বেড়ে উঠতে পারে। তিনি কোয়েলের খাবার হিসাবে ফার্মের মোরগের খাবারই ব্যবহার করে থাকেন। ১৭ থেকে ১৮ দিন পর ৩শ’ থেকে ৩শ’৫০টি বাচ্ছা তিনি উৎপাদন করতে পারেন। বর্তমানে এভাবে প্রতি মাসে তার খামার থেকে সহস্রাধিক কোয়েল বিক্রি করতে পারেন।

এ ব্যাপারে কোয়েল খামারের মালিক আকলিমা বেগম বলেন, সংসারে আর্থিক সহযোগিতা করার লক্ষ্যে বসত ঘরের একটি রোমে আমি কোয়েলের খামার পরিচালনা করছি। সংসারের পাশাপাশি এ খামারের জন্য কিছু সময় আমি ব্যয় করে থাকি। সরকারী বেসরকারী কোন প্রশিক্ষণ না নিয়ে এ খামারটি শুরু করায় প্রথমে হিমশিম খাই। কিন্তু আমার স্বামী হাফিজ হেলাল উদ্দিনের সহযোগিতায় আমি সফলতার মুখ দেখতে পেরেছি। ২০০ টাকার পুঁজি নিয়ে শুরু করা আমার খামারে বর্তমানে লক্ষাধিক টাকার মূলধন রয়েছে।

তিনি বলেন, প্রতি মাসে আমার ফার্ম থেকে ১০ হাজার টাকা আয় করে থাকি। এছাড়া আমার সংসার খরচ সহ পাকা ঘর নির্মাণে আমার স্বামীকে বড় ধরনের সহযোগিতা করতে পেরেছি।

তিনি আরোও বলেন, ইচ্ছা ও পরিশ্রম থাকলে কোয়েল খামার করে প্রতিটি পরিবার সাবলম্বী হওয়া সম্ভব।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৬ জুলাই ২০১৭/এমএএম/এসডি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন