আজ শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ইং

সিলেটে ‘আত্মহত্যার’ আগে দুদক কর্মকতা ‘সুইসাইড নোট’ রেখে গেছেন

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-০৭-১৭ ০০:০৮:১৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট নগরীর বাগবাড়ি এলাকার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ব্যারাকে নিজ কক্ষ থেকে উদ্ধার হওয়া কর্মকর্তা আত্মহত্যাই করেছেন। কক্ষটিতে মরদেহের পাশে পাওয়া একটি সুইসাইড নোট থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হয় পুলিশ।

রবিবার সকালে বাগবাড়িস্থ এতিম স্কুল রোডে ব্যারাকে নিজ কক্ষে ‘আত্মহত্যা’ করেন দুদক কর্মকর্তা এস আই লায়েজ উদ্দিন (৫৩)। পরে পুলিশ গিয়ে কক্ষ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা মরদেহটি উদ্ধার করে। এসময় মরদেহের পাশে সুইসাইড নোটটি পায় পুলিশ। সেটিতে আত্মহত্যার কারণ উল্লেখ করেছেন এস আই লায়েজ।

সুইসাইড নোটে তিনি তাঁর আত্মহত্যার পিছনে এক উচ্চমান সহকারীকে দোষারোপ করেছেন। ওই উচ্চমান সহকারী নাকি লায়েজ উদ্দিনের ‘প্রভিডেন্ট ফান্ডের’ আবেদন পত্রে স্বাক্ষর করেননি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাননি।

এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে ওই উচ্চমান সহকারীর বিরুদ্ধে ৩০৬ ধারায় একটি মামলা নং (২২(০৭)১৭) দায়ের করা হয়েছে।

এদিকে মরদেহটি ময়নাতদন্ত শেষে তার ছেলের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ছেলে মরদেহ নিয়ে গাজীপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেছেন। 

সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌছুল হোসেন সিলেটভিউ২৪ডটকমকে সুইসাইড নোট প্রাপ্তির বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন- নোটে এস আই লায়েজ লিখেছেন তাঁর মৃত্যুর জন্য উচ্চমান সহকারী দায়ী। ওই উচ্চমান সহকারী প্রভিডেন্ট ফান্ডের আবেদনে স্বাক্ষর করেননি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাননি।

প্রসঙ্গত, সিলেটে আঞ্চলিক অফিসে কর্মরত দুদকের কর্মকর্তা এস আই লায়েজ উদ্দিন (৫৩)। রবিবার সকালে নিজকক্ষ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় লায়েজের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর গ্রামের বাড়ি গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া। নিহত লায়েজ বাগবাড়ি ব্যারাকে পরিবার ছাড়া একাই থাকতেন। তাঁর স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে গাজীপুরে বসবাস করেন।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৭ জুলাই ২০১৭/ এমইউএ

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন