আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং
রেজওয়ান আহমদ সুজন, ওমান প্রতিনিধি :: মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে করোনা মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে আরবের অন্যান্য দেশে তুলনায় দেশটিতে এখনও মহামারি আকার ধারণ করেনি।তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখায় প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।
বৃহস্পতিবার (২১ মে) করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অষ্টম বারের মতন সংবাদ সম্মেলনে করেন সুপ্রিম কমিটি। এ সময় সুপ্রিম কমিটি জানান কেউ আইন অমান্য করলে তাকে জরিমানা ও ৪৮ ঘন্টার জন্য জেলে যেতে হবে। এছাড়া বেশ কিছু সিদ্ধান্ত ও তথ্য জানানো হয় বৈঠকে।
সিদ্ধান্তগুলোর ব্যাপারে জানানো হয়-
১. কেউ যদি দুই মিটার দূরত্ব বজায় রাখেন তবে মাস্ক পড়ার প্রয়োজন নেই। তবে বাহিরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করা উচিত।
২. কারফিউ জারি করা অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতা অর্জন করে আমরা যা বুঝতে পেরেছি তাতে মনে হয় করোনা ভাইরাস বিস্তারে সীমিত রাখতে সেটি খুব বেশি কার্যকর নয়। তবে আরওপি কঠোরভাবে নজরদারি করবে।
৩. বৃহস্পতিবার সর্বমোট সনাক্ত করা হয় ৩৭২ জন। যাদের মধ্যে ১০৫ জন ওমানি নাগরিক। হাসপাতালে মোট ১২২ জন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি রয়েছেন যার মধ্যে ৩২ জন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে আছেন। বাকি রোগীদের বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
৪. ২৫ জন রোগীকে প্লাজমা দেয়া হয়েছিলো তার মধ্যে ১৮ জনের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। প্রবাসীরা স্বাস্থ্য কেন্দ্র আসতে অনেকটা দেরি করার কারণে মৃত্যু হার বাড়ছে। সবার জন্য
৫. ভাইরাসটি দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে তাই চেষ্টা করা হচ্ছে কিভাবে ভাইরাসের সাথে বসবাস করা যায়। নতুন সিদ্ধান্তের জন্য ঈদের পর সুপ্রিম কমিটি বৈঠকে বসবে।
৬. ছুটি, বিবাহ, উপাসনালয়সহ বিভিন্ন সমাবেশে অংশ নিলে একশত রিয়াল জরিমানা এবং যারা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন অমান্য করবেন তাদের ২০০ রিয়াল জরিমানা করা হবে।
৭. জনসাধারণে চলাচল কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মাস্ক ব্যবহার না করলে ওমানি ২০ রিয়াল জরিমানা করা হবে। সুপ্রিম কমিটির লঙ্ঘনের দায়ে যে জরিমানা আদায় করা অর্থ কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ব্যয় করা হবে।
৮. পরিবহন খাতে যে ক্ষতি হয়েছে তা পুরণ করতে আনুমানিক চার বছর সময় লাগতে পারে। বিমান চলাচলে প্রথমে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট এর উপর গুরুত্ব দেওয়া হবে পরবর্তিতে ধারাবাহিক ভাবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করা হবে।
১০. বাণিজ্যিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ তাই ধীরে ধীরে সেগুলি আবার চালু করা হবে। বাকিগুলো খুব শীঘ্রই চালু করা হবে।
১১. প্রবাসী শ্রমিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলির সাথে সমন্বয় রয়েছে এবং বিমানবন্দর বন্ধ হওয়ার কারণে তাদের দেরিতে প্রস্থান করতে হবে। তবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানেরর প্রায় ২৫০০ নাগরিকে বিশেষ বিমানে পাঠানো হয়েছে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২১ মে ২০২০/রেজওয়ান/পিডি