আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

আয় করছেন কারাবন্দী রাম রহিম!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৪-১৬ ০০:৩৯:২৫

জেলে যাওয়ার পর অনেক বদলে গেছেন বাবা রাম রহিম। এখন তার দৈনিক ২০ রুপ আয়। সারাদিন হাড় ভাঙা খাটুনি খাটেন রান্নাঘরের পাশের বাগানে।

জানা গেছে, জেলে আসার পর অবসাদে ভুগতেন। কখনও দেখা দিত প্রবল অস্থিরতা। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছেন। জেল কর্তৃপক্ষ জানায়, এখন তিনি নিয়মনিষ্ঠ, ভদ্র। আগের রাম রহিম আর এখনকার রাম রহিমের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাত। বাবার চেনা জেল্লা নাকি কেড়ে নিয়েছে কারাগারের বন্দি জীবন। তার দাড়ি এখন ধূসর। জেলের খামারে ফসল ফলানোর জন্য প্রতিদিনের হাড়ভাঙা খাটুনিতে আপত্তিও করেন না। রংচঙে জামাকাপড় ছাড়া যার চলতো না, এখন তার পরনে সাদা কুর্তা ও পায়জামা। অনিয়মকে যিনি নিয়ম করে নিয়েছিলেন, এখন রীতিমতো জেলখানার নিয়মের মধ্যেই কাটে তার বন্দি জীবন।

এদিকে হানিপ্রীত নাকি মুখিয়ে থাকেন কবে কোন আত্মীয় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। জেলে মানিয়ে তীব্র চেষ্টা করছেন তিনি। তবে পুজা-আচ্চায় কোন আগ্রহ নেই তার। মামলা চলাকালীন আদালতে হাজিরা দিতে আসার সময়ে তাঁর পরনে থাকে নিত্য নতুন ডিজাইনার স্যুট। প্রথম প্রথম বাড়ি থেকে খাবার আনাতেন। জেল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সে সব অবশ্য বন্ধ। আপাতত জেলের খাবার খেয়ে দিন পার করছেন তিনি। জানা গেছে, ২০০৯ সালে হানিপ্রীতকে দত্তক নেন রাম রহিম। অভিযোগ উঠে, ওই পালিত কন্যার সঙ্গে নাকি যৌন সম্পর্ক ছিল ধর্ষণের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত ধর্মগুরু রাম রহিমের।

রাম রহিমের বিরুদ্ধে ২০১১ সালে এই গুরুতর অভি‌যোগ করেছিলেন জামাতা বিশ্বাস গুপ্তা। তার অভি‌যোগ ছিল, পালক কন্যা হানিপ্রীতের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক রয়েছে ডেরা সাচ্চা সৌদার প্রধানের। নিজের পাপ ঢাকতে তাকে দত্তক নিয়েছিলেন রাম রহিম।

উল্লেখ্য, ধর্ষণে অভিযুক্ত হওয়ার পর ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ লক্ষ রুপি জরিমানা করা হয়েছে রাম রহিমকে।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন