আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

আইএসের টার্গেটে ছিল সৌদি আরবও!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৪-২৪ ০১:০৫:০৮

মধ্যপ্রাচ্যে আইএস একটি আতঙ্কের নাম। আইএসের জঙ্গিবাদী কার্যক্রমে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে সিরিয়া ও ইরাকের বেশ কিছু অঞ্চল। আর সিরিয়ার পর আইএসের পরবর্তী টার্গেট ছিল সৌদি আরব! সিরিয়ার বাইরেও অন্য দেশে আইএস কিভাবে নিজেদের জাল বিস্তার করতে চায়, সেটারই বিস্তারিত বর্ণনা সামনে এলো। সিরিয়ার রাক্কা জেল থেকে উদ্ধার করা হয় একটি নোটবুক। সেখানে ইরাক, সিরিয়া এবং অন্য দেশে আইএস এর অপারেশন চালানোর নীলনকশা রয়েছে।

সাধারণ মানুষকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা থেকে শিশুদের দিয়ে হামলা চালানোর প্ল্যান, সবই আছে ইংরেজি, উর্দু ও ফরাসি ভাষায় লেখা ওই নোটবুকে। মধ্যপ্রাচ্যের জনপ্রিয় দ্য ন্যাশনাল পত্রিকা ৬০ পাতারও বেশি এই নোটবুকটি প্রকাশ করেছে।

ইংরেজি ও উর্দু ভাষায় হাতের লেখা এক ব্যক্তির। তবে ফরাসি ভাষায় লেখাটা অন্য কারও হাতের। লেখা ছাড়া বেশ কয়েকটি ছবিও আঁকা আছে ওই নোটবুকে। সেখানে হ্যান্ড গ্রেনেড, বন্দুক, পিস্তল, ল্যাপটপ, স্মার্টফোনের মতো যেসব জিনিস অর্থাৎ কোনো একটি টার্গেটে হামলা চালানোর সময় একজন জঙ্গির যা যা প্রয়োজন সেই সবকিছুরই ছবিই আছে।

তবে আইএসের ভেতরও যে ভাঙন তৈরি হয়েছে, সে কথাও উল্লেখ রয়েছে ওই নোটবুকে। আইএসের নিজস্ব প্রাইভেট মিলিটারি কোম্পানি নিয়ে দলের মধ্যেই দ্বিমত রয়েছে। এছাড়া আইএসে নতুন যোগ দেয়া সন্ত্রাসবাদীদের ঠিকমতো প্রশিক্ষণ দেয়া হয় না বলেও লেখা আছে।

সিরিয়ার পর আইএসের লক্ষ্য যে সৌদি আরব, সেটিও স্পষ্ট করা আছে নোটবুকে। বাইরে থেকে হামলা চালিয়ে নয়, ভেতরে ভেতরে নাশকতামূলক কাজকর্ম করে সৌদি আরবকেও নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় আইএস।

আইএসের লক্ষ্য রয়েছে আমেরিকার দিকেও। তবে সরাসরি যে মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে আইএস পেরে উঠবে না, সেটাও ওই নোটবুকে স্পষ্ট। তাই বিভিন্ন যুদ্ধবিগ্রহে আমেরিকাকে জড়িয়ে দিয়ে আর্থিকভাবে দেশটিকে দুর্বল করে ফেলার পরিকল্পনা রয়েছে আইএসের।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন