আজ শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ইং

মৃতপ্রায় শিশুকে পোপের ‘জীবনদান’!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৮-২১ ০০:১৮:৫৩

চিকিৎসকরা সময় বেঁধে দিয়েছিলেন- ‘আর মাত্র কয়েক মাস বাঁচবে ছোট্ট শিশুটি’। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে এখনও দিব্যি বেঁচে আছে জিয়ানা মাশ্চিয়ানতোনিও নামের মেয়েটি।

কয়েক বছর আগে এক সফরে পোপ ফ্রান্সিস ওই শিশুটির মাথায় চুমু খেয়েছিলেন।এরপর অল্প কিছুদিন বেঁচে থাকার কথা থাকলেও শিশুটির ব্রেন টিউমার এখন সেরে গেছে!

২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়া সফর করেন পোপ ফ্রান্সিস। সে সময় ভক্তদের আশীর্বাদ করেন তিনি। পোপ হেঁটে যাওয়ার সময় জিয়ানা মাশ্চিয়ানতোনিওর বাবা তাকে উঁচু করে ধরলে পোপ তার মাথায় চুমু খেয়ে আশীর্বাদ করেন। সে সময় জিয়ানার বয়স এক বছরের কাছাকাছি ছিল।

তবে পোপের জানা ছিল না যে, জিয়ানার ব্রেন টিউমার হয়েছে। ৩ বছর পর জিয়ানার পরিবার জানিয়েছে, কেমোথেরাপির পর তার টিউমার একেবারে গায়েব হয়ে গেছে। যদিও চিকিৎসকরা তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়েছিলেন।

মাত্র ৪ মাস বয়সেরই ছুড়ি-কাচির নিচে যেতে হয় জিয়ানাকে।অপারেশনের পর চিকিৎসকরা ভেবেছিলেন, শিশুটি হয়তো তার প্রথম জন্মদিনও পালন করবে পারবে না। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে এখনও দিব্যি বেঁচে আছে সে।

তার বাবা-মা তার এই সুস্থতার জন্য বিশ্বাস এবং ফিলাডেলফিয়ার চিকিৎসকদের আন্তরিকতাকে বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন। জিয়ানার মা ক্রিসটেন বলেন, সে এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। তাকে প্রি-স্কুলে দেয়া হবে। এটার জন্য সে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

জিয়ানার বাবা জোই বলেন, যখন আপনি শুরুতেই খারাপ কিছু জানতে পারবেন, তারপর আপনি আপনার সন্তানকে চারপাশে ঘুরে বেড়াতে বা এটা-সেটা করতে করতে দেখবেন,তখন এর অনুভূতি সত্যিই অসাধারণ।

পোপ ফ্রান্সিস জিয়ানার কপালে চুমু খেয়ে ক্রস সাইন এঁকে আশীর্বাদ করছেন এমন ছবিটি সে সময় বিভিন্ন মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবং ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছিল।

‘মিরাকেল অন মার্কেট স্ট্রিট’ নামে পরিচিত রাস্তায় পোপের আশীর্বাদ পেয়েছিল জিয়ানা। সেখানে ভালো কিছু ঘটে বলেই বিশ্বাস করা হয়।

যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে জিয়ানা সুস্থ হয়েছে, সেখানে ৫০ হাজার ডলার অনুদান দিয়েছেন তার বাবা-মা।পোপ ফ্রান্সিসের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুলেন নি তারা। 

সূত্র: মিরর অনলাইন, ডেইলি মেইল, সিবিএস নিউ ইয়র্ক

ভিডিও : ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন---

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন