আজ শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ইং
সামনেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আগে নির্বাচন নাকি খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন? – নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বিএনপির দুশ্চিন্তা।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা পেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এখন কারারুদ্ধ। ছয় মাসেও তার জামিন না হওয়ায় হতাশ দলের নেতাকর্মীরা। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে রাজপথে কঠোর আন্দোলনের কথা নেতা-কর্মীদের মুখ থেকে প্রথম দিকে শোনা গেলেও সে আন্দোলনের ছিটে-ফোঁটাও চোখে পড়েনি কারো। নেতারা যেটুকু না বললেই নয়, সেটুকুই বলছেন। বারবার আন্দোলনের কথা বলেও শেষ পর্যন্ত আন্দোলনের মাঠে দেখা যায়নি বিএনপির নেতা কর্মীদের।
৫ জানুয়ারি নির্বাচনে অংশ না নেওয়াটা ছিল দলের একটি ভুল সিদ্ধান্ত, বিএনপির শীর্ষ নেতারা তা স্বীকার করে নিয়েছেন। দীর্ঘ পাঁচ বছর অপেক্ষার পর আবারও ঘনিয়ে এসেছে নির্বাচনের সময়। তাই চলমান পরিস্থিতিতে বিএনপির নেতা কর্মীদের মধ্যে দুশ্চিন্তার ছাপ দেখা যাচ্ছে।
বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্রমতে, খালেদার মুক্তি ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে দলের বিভিন্ন সভায় নেতা কর্মীদের মধ্যে ঐক্যমত হচ্ছে না। কেউ বলছে খালেদাকে মুক্ত না করে নির্বাচনে যাবে না, আবার কেউ বলছে আগে নির্বাচনে অংশগ্রহণ পরে খালেদার মুক্তির আন্দোলন। এ বিষয় নিয়ে দল ভাঙ্গনের উপক্রম হয়েছে এখন।
দলের সিনিয়র নেতাদের একটি অংশ মনে করে, যেকোনো পরিস্থিতিতেই বিএনপির নির্বাচনে যাওয়া উচিত। এটি বিএনপির জন্যে বাঁচা মরার লড়াই। তারা নির্বাচন বর্জনের বিপক্ষে। ২০১৪-র নির্বাচনে না যাওয়া তাদের জন্য বোকামি ছিল। তাই খালেদা জিয়াকে জেলে রেখেই নির্বাচনের কথা ভাবছেন দলের এই অংশ।
দলের চেয়ারপারসনকে ছাড়া নির্বাচনে যাওয়া দলের জন্য বোকামি হবে বলে মনে করেন বিএনপির আরেক অংশ। তারা আন্দোলন করে খালেদাকে মুক্ত করিয়ে তার নেতৃত্বে নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে। খালেদার কারা বাসের ৬ মাস হতে চলছে, এ সময়ের মধ্যে তাদের আন্দোলনের কোনো বান্তব চিত্র দেখাতে পারে নি।
নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও খালেদার মুক্তির আন্দোলন নিয়ে দলের নেতা কর্মীদের মধ্যে এমন তর্ক বিতর্কের কারণে দুশ্চিন্তা বেড়েছে বিএনপির।