আজ শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ইং

সিলেটে নির্মিত হলো আধুনিক গণশৌচাগার

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৫-২৮ ০০:০৫:৫৮

চৌহাট্টায় আধুনিক গণশৌচাগার। ছবি: মেহেদি হাসান রনি।

রফিকুল ইসলাম কামাল :: সিলেট নগরীর চৌহাট্টা থেকে আম্বরখানা সড়কের পশ্চিমপাশে (আলিয়া মাদরাসার পিছনে) লাল আর সাদা রঙের মিশেলে একটি পাকা ঘর দৃষ্টি কাড়ছে সবার। ঘরের ওপরের দিকে রয়েছে একটি সাইনবোর্ড। সেখানে লিখা ‘পাবলিক টয়লেট’। সিলেট নগরীর এই গণশৌচাগারটির নির্মাণকাজ প্রায় শেষ। বর্তমানে চলছে ফিনিশিংয়ের কাজ।

সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলছেন, চৌহাট্টাস্থ এই গণশৌচাগারটি সিলেটের প্রথম আধুনিক গণশৌচাগার।

সিলেট নগরীতে কয়েক লাখ লোকের বাস। কিন্তু বৃহৎ আয়তনের এই নগরীতে এতোদিন মাত্র দুটি গণশৌচাগার ছিল। এর একটি কাজিরবাজার, অন্যটি সুরমা নদীর তীরে। এ দুই শৌচাগারই আবার পুরুষদের ব্যবহার উপযোগী। অর্থাৎ, নারীদের জন্য ছিল না আলাদা কোনো শৌচাগারের ব্যবস্থা।

এই বিষয়টি বিবেচনায় এনে নগরীতে তিনটি আধুনিক গণশৌচাগার নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সিটি করপোরেশন। এজন্য স্থান নির্ধারণ করা হয় চৌহাট্টা, ধোপাদিঘীরপাড় ও দক্ষিণ সুরমার মুক্তিযোদ্ধা চত্বর। বর্তমানে চৌহাট্টায় গণশৌচাগার নির্মাণকাজ প্রায় শেষ করা হয়েছে। এ কাজে আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ওয়াটার এইড’ এবং এইচ এন্ড এম ফাউন্ডেশন সহযোগিতা করেছে।

বাকি দুটি স্থানে গণশৌচাগার নির্মাণের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এগুলোর নির্মাণকাজ শেষ হবে।

চৌহাট্টায় আধুনিক গণশৌচাগার নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শাহজালাল বিল্ডার্সের প্রকৌশলী আবুল বাশার সিলেটভিউকে জানান, এই গণশৌচাগার নির্মাণে প্রায় ৩৫ লাখ টাকার মতো ব্যয় হয়েছে।

চৌহাট্টাস্থ গণশৌচাগারে গিয়ে দেখা যায়, এখানে শৌচাগার ও গোসলখানা রয়েছে। নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদাভাবে দুটি করে শৌচাগার রয়েছে; প্রতিবন্ধীদের জন্য আছে আরেকটি। পাঁচ টাকা দিয়ে এসব শৌচাগার যে কেউ ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া নারী ও পুরুষদের জন্য পৃথক গোসলখানায় গোসল করতে খরচ হবে ১০ টাকা; এক টাকা দিয়ে পান করা যাবে বিশুদ্ধ পানি। এখানে রয়েছে অজু করার ব্যবস্থাও।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এই গণশৌচাগারে সিটি করপোরেশন পানির লাইনের সংযোগ দিয়েছে। পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে একটি প্লাস্টিক ট্যাংকের সাথে আছে একটি রিজার্ভ ট্যাংকও। এখানে বিদ্যুতের সংযোগ দিয়েছে পিডিবি। রাখা হয়েছে আইপিএসও।

সুদৃশ্য টাইলসে মোড়ানো এই গণশৌচাগারে নিরাপত্তার জন্য রয়েছে দুটি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। আছে ফ্যান এবং জিনিসপত্র রাখার জন্য লকারের ব্যবস্থা।

সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানিয়েছেন, এই গণশৌচাগার পরিচালনার দায়িত্বভার কোনো এনজিও বা সংস্থার হাতে ন্যস্ত করতে চান, যাতে এটি সঠিকভাবে পরিচালিত হয়।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৮ মে ২০১৮/আরআই-কে

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন