আজ শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ইং
ইদ্রিছ আলী :: সিলেট শহরতলীর সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নের পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতাধীনে গত কয়েক দিনে বিদ্যুতের লোডশেডিং বেড়েছে। এতে খাদিমনগর ইউনিয়নের ফতেগড়, সাহেবের বাজার, কোনাটিলা, গোড়ামারা, রামপুর, দেওয়াইরবহর, ছালিমহল, পাঠানগাও, কান্দিরপথ, ছান্দাই, চানপুর, মোটরঘাট, ফড়িংগড়া, ছড়ারপাড়, টিল্লাপাড়া, বড়বন, কান্দিপাড়া, হানাপাড়া, আলীনগরসহ বেশ কয়কটি গ্রামের প্রায় ১০-১২ হাজারের মত বিদ্যুৎ গ্রাহক বিপাকে পড়েছেন।
এতে করে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন রোজাদাররাও। রমজান শুরু হওয়ার পর থেকে ইফতার, তারাবির নামাজ ও সেহরীর সময় রোজাদারদের বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
লোডশেডিংয়ের কথা স্বীকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর এক কর্মকর্তা বলেন- সরবরাহ কম, সরবরাহ লাইনের ত্রুটি ও অত্যধিক গরমের কারণে লোডশেডিং বেড়ে গেছে।
লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ সাহেবের বাজার এলাকার মোক্তার খা, ইমরান আলী তালুকদার, জুনেদ জানান- ঘনঘন বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করায় তাঁদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। রাতে বিদ্যুৎ গেলে এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর আসে। আবার ১০-১৫ মিনিট পর চলে যায়, ফের ঘণ্টাখানেক পরে আসে।
স্থানীয় এডভোকেট নুরুল আমিন বলেন, ‘আমাদের এলাকায় প্রতিদিন ছয়-সাতবার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করে। প্রতিবারই এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ থাকে না। সকাল, বিকেল এবং মধ্যরাতে লোডশেডিং এখন নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে'।
ফরিংউরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. ইলিয়াছ আলী মেম্বার বলেন, ‘বিদ্যুতের লুকোচুরিতে অতিষ্ঠ লাগছে। রোজা রেখে ব্যস্ত থাকতে হয়। এর মধ্যেই বিদ্যুৎ গেলে আর আসে না। রমজান মাসের শুরুতেই লোডশেডিংয়ের সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। তিন দিন ধরে বিদ্যুতের সমস্যা খুব বেশি হচ্ছে।’
এ বিষয়ে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও ফোন ধরেননি তিনি।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৮ মে ২০১৮/ইআ/ডিজেএস