আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

স্কুলছাত্র ইমন হত্যা: সিলেটে ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৯-২৫ ১৮:০৪:২২

সিলেট :: সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার চাঞ্চল্যকর শিশু ইমন হত্যা মামলায় ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে মঙ্গলবার আরও দুইজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ নিয়ে ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সিলেটের দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মকবুল আহসানের আদালতে আজ সাক্ষ্য প্রদান করেন ছাতকের বাতিরকান্দির রফিক আহমদ ও আজমান আলী।

আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর জানিয়েছেন, ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত। দুইজন অসুস্থ্য থাকায় তাদের সাক্ষ্য নেওয়া হবে না। আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করতে আবেদনও করা হয়েছে।

তিনি জানান, আগামী তারিখ থেকে সরকারি কর্মকর্তাদের সাক্ষ্য নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার আদালতে জবানবিন্দকালে গ্রেফতারকৃত আসামী মসজিদের ইমাম শুয়াইবুর রহমান সুজনের উদ্ধৃতি দিয়ে সাক্ষী রফিক আহমদ বলেন, ‘স্কুলছাত্র ইমনকে জাহেদ বিষ পান করায়। ইমন তখন বমি করে। পরে ইমনকে শুইয়ে ছালেহ আহমদ তার পা ও বুক চেপে ধরে। জাহেদ হাতে ও সুজন মাথায় ধরে। রফিকুর রহমান চুরি দিয়ে ইমনকে জবাই করে। পরে তাকে বস্তায় ভরে ডোবায় ফেলে রাখে।’

এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর ইমনের মা শামীমা বেগমসহ দুইজন সাক্ষ্য দেন।

ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের বাতিরকান্দি গ্রামের সৌদি প্রবাসী জহুর আলীর ছেলে ও লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট কারখানার কমিউনিটি বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণীর ছাত্র ইমনকে ২০১৫ সালের ২৭ মার্চ অপহরণ করা হয়। পরে মুক্তিপণের টাকা পাওয়ার পরও অপহরণকারীরা শিশু ইমনকে হত্যা করে। ৮ এপ্রিল সিলেটের কদমতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে শিশু ইমনের হত্যাকারী ঘাতক ইমাম সুয়েবুর রহমান সুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি, বিষের বোতল ও রক্তমাখা কাপড় উদ্ধার করে। এমনকি বাতিরকান্দি হাওর থেকে ইমনের মাথার খুলি ও হাতের হাড় উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার করে জড়িতদের।

প্রসঙ্গত, মামলাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের নির্দেশের পর সিলেটের দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১৬ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর মামলাটি ট্রাইব্যুনালে উঠে। মধ্যখানে বিরতির পর গত ২ আগস্ট থেকে আবার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন আদালত।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮/ইআ

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন