আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজার সরকারী মহিলা কলেজের অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার্থী তাসরিকা হক তান্নি হত্যাকান্ডের রহস্য ৬ মাসেও উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি কোর্টে মামলা করার ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য আদালত নির্দেশ দিলেও বিগত ৪ মাসেও মামলার তদন্ত রিপোর্ট জমা দিচ্ছেনা পিবিআই পুলিশ।
তাই দ্রুত তান্নির হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত বিলম্বের প্রতিবাদে ও দ্রুত খুনিদের গ্রেফতারের দাবীতে মঙ্গলবার দুপুরে কুলাউড়ার হাজিপুর ইউনিয়ন কটারকোনা বাজারে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ অভিযোগ করেন নিহতের পরিবার।
সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, নিহতের বড় ভাই আজিজুল হক তানিম। উপস্থিত ছিলেন মাওলানা ওয়াদুদ মিয়াসহ নিহতের আত্নীয় স্বজন উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্যে থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১১ জুন কমলগঞ্জ উপজেলার পতনউষা গ্রামের মজবুল আলীর ছেলে আলী ইবতেজা রাসেলের সঙ্গে কুলাউড়া উপজেলার পাবই গ্রামের আব্দুল হকের মেয়ে মৌলভীবাজার সরকারী মহিলা কলেজের অনার্সের শিক্ষার্থী তাসরিকা হক তান্নিকে বিবাহ দেওয়া হয়। বিয়ের পর থেকে শশুর বাড়ির লোকজন তান্নিকে পড়ালেখায় বাধা প্রদান, যৌতুকের জন্য মারধর করাসহ নানাভাবে নির্যাতন করায় উভয় পক্ষের স্থানীয় মুরব্বিয়ানদের মধ্যস্থতা করার পরও নির্যাতন করে চলতি বছরের ২৮ মার্চ তান্নি মৌলভীবাজার কলেজে অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে স্বামীর বাড়িতে আসার পর স্বামী ও স্বামীর বাড়ীর লোকজন পরিকল্পিতভাবে গলাকেটে হত্যা করে বিবস্ত্র লাশ ভানুগাছ রেললাইনের পাশে ফেলে যায় হত্যাকারীরা এ অভিযোগ নিহতের পরিবারের।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই আজিজুল হক বাদি হয়ে তান্নির স্বামী আলী ইফতেজা রাসেল(৩৭) সহ শশুরবাড়ির ৬ জনকে আসামী করে মৌলভীবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।
এ ব্যাপারে পিবিআই মৌলভীবাজারের ইন্সপেক্টর( প্রশাসন) আতিকুর রহমান জানান, কলেজ ছাত্রী তাসরিকা হক তান্নির মামলাটি কোর্টের নির্দেশে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তকাজ শেষ না হওয়ায় আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়া যায়নি।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮/জেএ/এলএস