আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

হবিগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিলেন শেখ মহিউদ্দিন আহমেদ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-১১-১৯ ১৪:১৯:২০

নবীগঞ্জ সংবাদদাতা :: নবীগঞ্জে শিক্ষা ও সমাজসেবায় বিশেষ অবদান রেখে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন যুক্তরাজ্য কমিউনিটি নেতা শেখ মহিউদ্দিন আহমেদ। সামাজিক উন্নয়নে তার নেয়া বিশেষ কিছু পদক্ষেপ বিত্তশালীদের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করছে।

রাজনৈতিক বিলাসিতা ও প্রচার বিমুখ শেখ মহিউদ্দিন সামাজিক উন্নয়নে বিরল ভূমিকা পালন করছেন। নীরব সমাজসেবাকে তিনি এবাদত মনে করেই বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড অংশ নিচ্ছেন। নৈতিক দায়িত্ববোধ থেকেই তিনি এসব করছেন।

নিজস্ব অর্থায়নে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও ধর্মীয় স্থাপনা এবং রাস্তাঘাটের সংস্কারকাজে বিশেষ ভূমিকা পালন করছেন।

নিজের ব্যক্তিগত উদ্যোগে এলাকার উন্নয়নে কাজ করায় তাঁকে স্থায়ীভাবে পাশে চান এলাকাবাসী। তাই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী হওয়ার জন্য দাবি চেয়ে বসেন সাধারণ মানুষ।

জনগণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন তিনি।

তাঁর দাবি, জনগণ যেহেতু আমাকে প্রার্থী হওয়ার আহবান জানিয়েছে, সেহেতু মনোনয়ন পেলে আমি বিজয় ছিনিয়ে আনব ইনশাল্লাহ্।

বিএনপি থেকে মনোনয়ন নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ১৯৮৮-১৯৮৯ এ হবিগঞ্জে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় কর্মী হিসেবে জড়িত ছিলেন। পরে তিনি ১৯৯০ সালে স্বপরিবারের লন্ডন চলে যান সেখানে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে একজন সফল ব্যাংকার ও উদ্যোগতা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।

শেখ মহিউদ্দিন জানান, নির্লোভ সমাজসেবার মানুষিকতা নিয়ে তিনি চ্যারিটি ফান্ড গঠন করেছেন। নিজের কর্ম ও পারিবারিক আয়ের একটি অংশ তিনি অবহেলিত জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন এবং শিক্ষা ও ধর্মীয় স্থাপনার কাজে ব্যয় করেন। রাজনৈতিক বিলাসিতা নিয়ে তিনি এ সবকিছুতে উৎসাহ বোধ করেন না। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে নীরব অবদান রেখে আসছেন। এসবের পেছনে বিশেষ কোনো উদ্দেশ্য নেই। নৈতিক দায়িত্ববোধ আর দেশপ্রেম তাকে অনুপ্রাণিত করে। এছাড়া সমাজের বেকারত্ব নিরসনে তিনি বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। অচিরেই তা দৃশ্যমান হবে। এজন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সরকারের সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে।

কর্মমুখী শেখ মহিউদ্দিন যুক্তরাজ্যে বাঙালি কমিউনিটির এক পরিচিত মুখ। যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ পূর্ব লন্ডনে তিনি বসবাস করেন। উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের করগাঁও গ্রামে তার জন্ম। শেখ মফিজ উদ্দিন এবং মাতা অলিমা খানমের দ্বিতীয় সন্তান শেখ মহিউদ্দিন এলাকায় বেশ সমাদৃত। তার সহধর্মিণী ডা. ফারহানা ইসলাম মানবতাবাদী চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত। ১৯৯০ সালে তিনি যুক্তরাজ্য গমন করেন। সেখানে তিনি উচ্চশিক্ষার মানসিকতা নিয়ে ভর্তি হন ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট লন্ডনে। ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সে বিএ অনার্স ডিগ্রি লাভ করেন। চাকরি জীবনের পাশাপাশি এসোসিয়েশন অব চ্যার্টার্ড সার্টিফাইড অ্যাকাউনটেন্ট এবং ম্যানচেস্টার বিজনেস ম্যানেজমেন্টে (ইউনিভার্সিটি অব ম্যানচেস্টার) এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি বিনিয়োগ ব্যাংকিং খাতে বিশেষজ্ঞ, করপোরেট, শিল্প আর্থিক পুনর্গঠন, বিনিয়োগ ব্যাংকিং প্রবিধান, করপোরেট ফাইন্যান্স পরামর্শদাতা হিসেবে লোকজনকে সহায়তা দিচ্ছেন। এসব বিষয়ে

বিভিন্ন কোম্পানিতে নির্বাহী পরিচালক ও পরিচালনা অধিকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিরল প্রতভার অধিকারী শেখ মহিউদ্দিন প্রবাস জীবনের শত কর্মব্যস্ততার মধ্যেও এলাকার হতদরিদ্র লোকজনের খোঁজখবর নেন। মা-বাবার নামে উৎসর্গ করা অলিমা মফিজ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। ওই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়ন ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আর্থিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। মানব দরদী মহিউদ্দিন হতদরিদ্র লোকজনকে শীত বস্ত্র প্রদান, বন্যা ও খরায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে সহায়তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবায় নীরব সহায় দিচ্ছেন। গ্রামীণ জনপদের সব শ্রেণি-পেশার লোকজনের সঙ্গে তিনি সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখেন।

রাজনীতির চমক হিসেবে নির্বাচনী এলাকায় আত্মপ্রকাশ করতে পারেন কমিউনিটি নেতা শেখ মহিউদ্দিন। এরকম প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন নির্বাচনী এলাকার মানুষ।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৯ নভেম্বর ২০১৮/এসএমএএইচ/এসডি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন