আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

বিশ্বনাথের অটোরিকশা চালককে দক্ষিণ সুরমায় গলা কেটে হত্যা, আটক ৩

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-১২-১৬ ১৯:০২:৫৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, বিশ্বনাথ :: সিএনজি চালিত অটোরিকশা ছিনতাই করার জন্য সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার এক সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালককে দক্ষিণ সুরমায় নিয়ে গিয়ে গলা কেঁটে হত্যা করেছে ছিনতাইকারিরা। চালককে হত্যার করার পর ছিনতাইকারীরা অটোরিকশাটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

নিহত অটোরিকশা চালক বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের বাইশঘর গ্রামের নূর উদ্দিন কলা মিয়ার পুত্র কামরুল ইসলাম (১৮)। ঘটনার সাথে জড়িত মূলহোতাসহ তিন ছিনতাইকারিকে আটকের পর সিলেট কোতোয়ালী থানাধীন বাঘবাড়ি এলাকা থেকে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশা উদ্ধার করেছে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ।

আটককৃতরা হচ্ছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার আটঘর গ্রামের আবদুর রউফ’র পুত্র আবদুস ছালাম (৩০), একই গ্রামের আমজাদ আলীর পুত্র নাজিম উদ্দিন (৩২) ও সিলেট কোতোয়ালি থানার আল-মদিনা আবাসিক এলাকার রাকিব মিয়ার বাসার ভাড়াটিয়া আলফু মিয়ার পুত্র হাফিজুর রহমান (২৪)। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, শনিবার সন্ধ্যায় জগন্নাথপুর উপজেলার কেউনবাড়ি বাজার থেকে নিহত অটোরিকশা চালক কামরুল ইসলামের অটোরিকশা লালাবাজারের উদ্দেশ্যে ভাড়া করে ছিনতাইকারি দলের মূলহোতা আবদুস ছালাম ও নাজিম উদ্দিন। ওই দিন রাতে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বাঘরকলা গ্রামের রাস্তার পাশ থেকে কামরুলের লাশ উদ্ধার করে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ। নিহত অটোরিকশা চালক রাতে বাড়িতে ফিরে না আসায়, সকাল থেকে কামরুলের সন্ধ্যান বের করার জন্য খোঁজাখুজি শুরু করেন তার পরিবারের লোকজন। একপর্যায়ে নিহতের মামাতো ভাই বল্লবপুর গ্রামের নূর আলীর পুত্র জামিল আহমদ সকলকে জানায় শনিবার সন্ধ্যায় ছিনতাইকারী আবদুস ছালাম ও নাজিম উদ্দিন অটোরিকশাসহ তাকে (কামরুল) রির্জাভ নিয়েছে বলে দেখেছে। এরই সূত্র ধরে রোববার সকালে এদুই ছিনতাইকারিকে আটক করে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ।

আটককৃতদের স্বীকারুক্তিতে লাশ সনাক্ত, হত্যার কাজে ব্যবহৃত চুরি ও অটোরিকশা উদ্ধার করা হয় বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। এঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

অটোরিকশা চালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধারের সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, অটোরিকশা চালককে গাড়ি ভাড়া করে যারা নিয়ে গিয়েছিল তাদেরকে চালকের এক নিকট আত্বীয় দেখতে পায়। আজ রবিবার সকালে আটঘর গ্রামের আটক নাজিম উদ্দিনকে নিহত চালকের আত্বীয়-স্বজন ডেকে আনেন। এসময় সে অটোরিকশা চালককে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করে ও তার সঙ্গে অপর জন আবদুস সালাম ছিল বলে জানায়। এরপর এলাকাবাসী আবদুস সালামকে আটক করেন। স্থানীয় জনতা আটককৃতদের বিশ্বনাথ  থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করেন। এরপর আটককৃতদের নিয়ে পুলিশ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধারে অভিযানে নামে। তাদের দেখানো মতে দক্ষিণ সুরমার থানার বিবিদইল এলাকার একটি ফসলি জমির পানি থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করে হয়। পরে সিলেট নগরীর মদিনা মার্কেট এলাকায় থেকে অটোরিকশা গাড়ি উদ্ধার ও হাফিজুর রহমানকে আটক করা হয়। লাশটি বর্তমানে দক্ষিণ সুরমা থানায় রয়েছেন বলে তিনি জানান।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৬ ডিসেম্বর ২০১৮/পিবিও/এমকে-এম


@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন