আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

হবিগঞ্জে স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্ব দেখতে ছিলো সেই ভিড়

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৩-২০ ২১:৫৫:৫৮

সিলেটভিউ ডেস্ক :: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে বিদেশফেরত এক দম্পত্তির পারিবারিক দ্বন্দ্বকে করোনাভাইরাসের দিকে প্রবাহিত করে ভুল তথ্যের মাধ্যমে সংবাদ প্রচার হওয়ায় জেলাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি বিভ্রান্তিতে পড়েছে ওই প্রবাসীর পরিবার ও স্থানীয় প্রশাসন।

জানা গেছে, নবীগঞ্জ পৌর শহরের গুয়াউড়ি গ্রামের অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী ওই দম্পতি সম্প্রতি দেশে ফিরেন। কিন্তু তাদের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল। দেশে ফেরার পর ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছামাত্রই স্বামী তার স্ত্রীর পাসপোর্টসহ সকল কাগজপত্র রেখে তাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। বৃহস্পতিবার শ্বশুড়বাড়ির লোকজন স্বামীর বাড়িতে আসেন। এ সময় স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় আশপাশের লোকজন জড়ো হন। কয়েকজন অতিউৎসাহিত ব্যক্তি জড়ো হওয়া মানুষের ছবি তুলে করোনাভাইরাসের বিষয় জড়িয়ে সামাজিক যোগগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করেন। পরে উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি। এ সময় নবীগঞ্জ পৌর মেয়র ছাবির আহমেদ চৌধুরী ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হকও উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা বিষয়টির সাময়িক সমাধান করেন।

এদিকে, ‘ফেসবুকে প্রচারিত ছবিটি নিয়ে দেশের কয়েকটি অনলাইন গণমাধ্যমে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদে উল্লেখ করা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে ‘কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রবাসীকে দেখতে উৎসুক জনতার ভিড়।’ সংবাদটি নিমেষেই ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় বিভ্রান্তিতে পড়ে ওই প্রবাসীর পরিবার ও স্থানীয় প্রশাসন। পরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে শুক্রবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিশ্বজিৎ কুমার পাল।

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমান বলেন, ‘দেশের কয়েকটি গণমাধ্যমে ভুল সংবাদ প্রচার হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা বিভ্রান্তিতে পড়েছি। স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্বকে করোনাভাইরাসের কোয়ারেন্টাইন দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় উল্লেখ করে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। যা জনগণ ও আমাদের মধ্যে বিভ্রান্তির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।’

নবীগঞ্জ পৌঁর মেয়র ছাবির আহমেদ বলেন, ‘স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক দ্বন্ধের বিষয়টি অবগত হয়ে স্থানীয় মুরুব্বিয়ানসহ অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাড়িতে যাই। সেখানে গিয়ে প্রবাসী স্বামীকে পাওয়া যায়নি। এসময় প্রবাসীর পরিবারের লোকজনকে ১৪ দিনের হোম কেয়ারেন্টাইনের বিষয়টি স্বরণ করিয়ে দেই এবং তাদের হোম কেয়ারেন্টাইন শেষে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেই’।

নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিশ্বজিৎ কুমার পাল বলেন- ‘আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া প্রবাসীর বাবা আমাকে জানিয়েছেন তার ছেলে এখনও বাড়িতে আসেনি। তিনি এখনও আত্মীয়ের বাড়িতেই অবস্থান করছেন’।

তিনি বলেন, ‘ওই প্রবাসী বাড়িতে আসলে তাকে যেন ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন করা হয় তার নির্দেশ দিয়েছি’।

সৌজন্যে : সমকাল
সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ২০ মার্চ ২০২০/জিএসি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন