আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

বানিয়াচংয়ে পশুর হাটে বেচাকেনা কম

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৭-২৮ ২২:৪৭:১২

জসিম উদ্দিন, বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) :: ঈদুল আযহার আর মাত্র তিন দিন বাকি। হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে কোরবানির পশুর হাট জমে উঠলেও বেচাকেনা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ব্যবাসায়ীরা।

মঙ্গলবার (২৮ জুলাই)  বিকেলে বানিয়াচংয়ের একমাত্র পশুর হাট এড়ালিয়া মাঠে গিয়ে দেখা যায় হাটে পর্যাপ্ত পশু ও ক্রেতা-বিক্রেতা থাকলেও এখনও বেচাকেনা খুব একটা জমে উঠেনি। ফলে বিক্রেতা এবং ইজারাদাররা রয়েছেন দুশ্চিন্তায়।

বিক্রেতারা জানান, কয়েকদিন যাবত গরু নিয়ে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাটিয়ে আবার বাড়িতে ফিরে যেতে হচ্ছে। ক্রেতা থাকলেও অনেকেই শুধু দাম জিজ্ঞেস করেই চলে যাচ্ছেন। অনেকেই এখন দাম যাচাই করতে পশুর হাটে আসছেন বলে ব্যবসায়ীদের ধারনা। শেষ মুহুর্তে ঈদের আগের দিন বেচাকেনা জমে উঠবে বলে মনে করছেন তারা।
 
এবছর হাটে গরুর সরবরাহ রয়েছে প্রচুর। এ ছাড়া এখনো বানিয়াচংয়ের ভাটি অঞ্চলগুলোর বিভিন্ন স্থান থেকে হাটে গরু আসছে। বাজারে বিভিন্ন আকারের গরুর চাহিদা থাকলেও  মাঝারি এবং ছোট আকারের গরুর চাহিদা তুলনামূলক বেশি এবং দাম কিছুটা বেশি বলে অনেকে জানিয়েছেন। অন্যদিকে মোটাতাজা গরুর চাহিদা কম থাকায় দামও তুলনামূলক কম। তবে গত বছরের তুলনায় এবছর সবধরনের গরুর দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

চাহিদা থাকলেও এবছর বানিয়াচয়ের পশুর হাটে অন্যান্য বছর ছাগলের উপস্থিতি থাকেলেও এবছর ছাগল সরবরাহ নেই বললেই চলে। পুরোহাট ঘুরে মাত্র কয়েকটি ছাগল চোখে পড়ে। অথচ ক্রেতাদের মাঝে ছাগলের চাহিদা রয়েছে প্রচুর। 

এদিকে পশু বেচাকেনা কম হওয়ায় ইজারাদাররা রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। ইজারার আসল টাকা উঠবে কি না তা নিয়ে তারা অনেকটাই শংকিত।

বানিয়াচংয়ের পশুরহাট ইজারাদার মোহাম্মদ সায়েব আলী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত হাটে গরু বেচাকেনা খুব কম হচ্ছে। করোনা এবং বন্যার প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়েছে কোরবানীর পশুর হাটে। তিনি আরও জানান, করোনার কারনে বিদেশ থেকে এবছর রেমিট্যান্স কম আসায় অনেকেই কোরবানি দিচ্ছেন না। তাই বেচাকেনাও কম হচ্ছে। তাছাড়াও দুয়েকটা গরু বিক্রি হলেও খাজনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। তিনি অভিযোগ করেন, অধিকাংশ ক্রেতাই গরু কিনে মোবাইল নাম্বার দিয়ে পরে যোগাযোগ করে রাস্তা থেকে অথবা বাড়ি থেকে গরু কিনে নিচ্ছেন। ফলে খাজনা পাচ্ছেন না তারা।  
ইজারাদার হামিদুর রশিদ জিলু জানান, ‘এবছর ইজারার অর্ধেক পরিমাণ টাকা উঠবে কি না তা নিয়ে সংশয়ে আছি। আজ পর্যন্ত মাত্র ২৫ হাজার টাকা খাজনা তুলতে সক্ষম হয়েছি। অথচ ইজারা, ভ্যাট এবং হাট ঠিকঠাক করতে আমাদের খরচ হয়েছে মোট ৬ লক্ষ টাকা।’

ধারণা করা হচ্ছে,  বিক্রেতারা শেষদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন কাঙ্খিত দামে গরু বিক্রী করতে। আবার ক্রেতারাও শেষদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করছেন কাঙ্খিত দামে গরু ক্রয় করতে।  তবে ক্রয়-বিক্রয় যেরকমই হোক না কেন বানিয়াচংয়ের পশুরহাটে স্বাস্থ্যবিধি বলতে এখন আর কিছু নেই। 


সিলেটভিউ২৪ডটকম / ২৮ জুলাই, ২০২০ / জসিম / ডালিম

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন