আজ বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪ ইং

হবিগঞ্জে বিদ্যুৎ উন্নয়ন কেন্দ্রের ভেতর অবাধে চলছে বৃক্ষ নিধন

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-১১-২০ ১৪:৪৯:১২

মাধবপুর প্রতিনিধি :: হবিগঞ্জের শাহজিবাজার বিদ্যুৎ উন্নয়ন কেন্দ্রের ভেতর চলছে অবাধে বৃক্ষ নিধন। ১১৮ বৃক্ষের নিলামে কাটা হচ্ছে কয়েক শ গাছ। কাগজে পত্রে মৃত শুধুমাত্র মেহগনি গাছ দেখানো হলেও কেটে নেওয়া হচ্ছে জীবন্ত বৃহৎ আকারের আকাশমনি, ক্রস, চাপালিশ প্রজাতির গাছগুলো।

আহবানকৃত নিলামের কয়েকগুন বেশি গাছ কেটেও ক্ষান্ত হননি। সর্বশেষ গত ১৭ নভেম্বর বিদ্যুৎ উন্নয়ন কেন্দ্রের রেস্ট হাউজ এলাকা থেকে বৃহদাকৃতির চাপালিশ গাছ কাটতে গিয়ে স্থানীয় জনগনের বাধার মুখে বৃক্ষ নিধন বন্ধ রয়েছে। বন বিভাগের পরামর্শ  ছাড়াই অফিস কর্তাব্যক্তিরা নিজেদের মতো করে জীবন্ত গাছকে কাগজেপত্রে মরা দেখিয়ে যোগসাজসে বিক্রি করে দিচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক মো. মাহবুব হোসেনের সাথে কথা বলে জানা যায়, পরিচালক সাইফুল হাসান চৌধুরীকে আহবায়ক করে ১১৮টি গাছের নিলাম কমিটি করা হয়। কমিটির পরামর্শক্রমে গত ১২ অক্টোবর আহবানকৃত নিলামে ৩টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহন করে। অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে সর্বোচ্চ দর আহবানকরী মেসার্স মা এন্টারপ্রাইজ ১১৮টি গাছের মূল্য ভ্যাট, ট্যাক্সসহ ৩লক্ষ ৪০ হাজার ৫শ টাকা পরিশোধের মাধ্যমে বৃক্ষ কর্তন করছে। একটি গাছ বেশী কাটা হয়েছিল সেটিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। রেস্ট হাউজ এলাকায় চাপালিশ ও রাস্তার পাশ থেকে জীবন্ত আকাশমনি ও ক্রস গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)ও সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল জানান, জীবন্ত গাছকে মৃত দেখিয়ে যারা গাছগুলো কাটছে তারা আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা দেখিয়েছেন। অবাধে গাছ কাটার ফলে আমার পরিবেশ, প্রতিবেশ তথা জলবায়ুর উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। জীবন বাচাঁতে গাছ রক্ষার বিকল্প নেই। বিদ্যুৎ বিভাগের মত দ্বায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান কর্তৃক যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরন না করায় তদন্তপূর্বক গাছ কর্তনের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা দরকার।

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. মারুফ হোসেন জানান, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সরকার গাছ কর্তনের চেয়ে গাছ রোপনের উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। কোন বিভাগ গাছ মার্কিং, বিক্রি,বাজারদর নির্ধারনে বনবিভাগের সহযোগিতা চাইলে আমরা সর্বদা প্রস্তুত। কাটাগাছ গুলো পরিবহনের ক্ষেত্রে বনবিভাগের অনমোদন বাধ্যতামূলক।

এ ব্যপারে বিদ্যুৎ উন্নয়ন কেন্দ্রের পরিচালক সাইফুল হাসান চৌধুরীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগযোগ করা হলে তিনি অসুস্থ আছেন বলে জানান। কাগজপত্র না দেখে তিনি কিছু বলতে পারবেন না।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/২০ নভেম্বর ২০২০/এসসি/এসডি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন