আজ শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ইং

একজন রেনু এবং তার ৪৬ বছরের রাজনৈতিক বর্নাঢ্য ক্যারিয়ার

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১১-০৯ ১৬:১০:৪১


সাইদুল হাসান সিপন :: রফিকুল ইসলাম রেনু। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ৬৬’র ৬ দফা আন্দোলনের সময় উনার বয়স ছিলো ১৪ বছর। উনার ভাষায়, ‘তখন আন্দোলন বিষয়টি খুব একটা না বুঝলেও এটা বুঝেছিলাম এটা বাঙালী জাতির মুক্তির সনদ।’ ওই সময় উনার ছোট চাচা ফুলতলা (তৎকালীন কুলাউড়া থানার অধিনস্ত) নিবাসী তইমুছ আলীর সান্নিধ্যে থেকে এগুলো উপলব্দি করতেন। তইমুছ আলী ছিলেন আওয়ামীলীগের একজন সমর্থক। রফিকুল ইসলাম রেনু মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ভুকশিমইল ইউনিয়নের আলহাজ্জ্ব মদছছির আলী এবং মরহুম নুরুন্নেছার সন্তান।

ষাটের দশকের শেষের দিকে রফিকুল ইসলাম রেনু দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার নিয়মিত পাঠক ছিলেন। পত্রিকার মাধ্যমে তিনি দেশের সার্বিক পরিস্থিতি জানতে পারতেন এবং বুঝতে পারেন বঙ্গকন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালী জাতির স্বাধীকার আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ওই সময়কার পরিস্থিতি উনার হৃদয়ে নাড়া দেয়। একই সময়ে ফুলতলা বর্ডারে উনার চাচার বাড়ির পাশে কমলা ফলের দোকানদার একজনকে পাকিস্থানীরা নির্মমভাবে নির্যাতন উনাকে ব্যথিত করে। তখনই সিদ্ধান্ত নেন চাচার সাথে মিছিলে সামিল হবেন। ‘শেখ মুজিবের মুক্তি চাই, নইলে তোমার মুক্তি নাই’ এমন নানা শ্লোগানে তিনি (রেনু মিয়া) মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, ১৯৭০ এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্বাচনী প্রচারণায় কুলাউড়ায় এসেছিলেন। উনাকে এক নজর দেখতে আমি অনেক দূর পাড়ি দিয়ে কুলাউড়া এসেছিলাম। অনেক মানুষের ভীড়ে উনার চেহারা এবং বক্তব্য শোনে আমি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ি এবং উনার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ি। এবং তখনই সিদ্ধান্ত নেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশের যে আন্দোলন আসবে আমি কাজ করবো। ওই সময় আমার চাচা তইমুছ আলী ৭০ এর প্রাদেশিক নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হোন।

তিনি বলেন, ৭১ এর ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শোনার জন্য আমরা অধির আগ্রহে রেডিও পাশে নিয়ে বসেছিলাম। কিন্তু ওইদিন কোন কারন ছাড়া বঙ্গবন্ধুর ভাষণ পাকিস্তানীরা প্রচার করেনি। পরেরদিন অর্থাৎ ৮ মার্চ হঠাৎ রেডিওতে বঙ্গবন্ধুর বক্তব্য প্রায় ১০/২০ মিনিট প্রচার হয়। আমরা খুব মনোযোগ দিয়ে উনার প্রত্যেকটি কথা বুঝার চেষ্টা করেছি। বয়স কম থাকায় উনার কথার সারমর্ম বুঝতে না পারলেও আমরা এটা বুঝেছিলাম দেশের মুক্তির জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।

তিনি বলেন, ৭১ এর এপ্রিল মাসের শেষ সোমবার কুলাউড়ায় পাকিস্তানী মিলিটারী প্রবেশ করে এবং বুধবার ফুলতলায় মিলিটারীরা প্রবেশ করে। খবর পেয়ে প্রথমে আমরা একটি চা বাগানের ভিতরে গিয়ে লুকিয়ে থাকি। খবর আসে তৎকালীন ফুলতলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সোনা মিয়া হাজির বাড়ি জ্বালিয়ে দেয় পাকিস্তানীরা। পরিস্থিতি ঘোলাটে দেখে আমরা ভারতে আশ্রয় নেই। দুই তিনমাস পর চাচা তইমুছ আলীসহ আবার দেশে ফিরে আসি। বাড়িতে যেদিন আসলাম ওইদিনই মিলিটারীরা আমাদের বাড়িতে আক্রমন করে। চাচাকে না পেয়ে বাড়ির অনেককেই নির্যাতন করে। আমার ডান পায়ের উপরের দিকে এক মিলিটারী বন্দুকের কাঠের অংশ দিয়ে আঘাত করে। কোন রকম সেখান থেকে পালাতে সক্ষম হই।

১৯৬৪ সালে কুলাউড়া থানা আওয়ামলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলেন আব্দুর রহিম এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আব্দুল জব্বার। রফিকুল ইসলাম রেনুকে রাজনীতিতে সক্রিয় করেন মরহুম আব্দুল জব্বার। উনার হাত ধরেই স্বাধীনতা পরবর্তিতে ১৯৭৩ সালে কুলাউড়া থানা আওয়ামলীগের সদস্য নির্বাচিত হোন তিনি। ওই সময় মুকিম মিয়া সভাপতি ও আব্দুল জব্বার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এর পর ধাপে ধাপে কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুব বিষয়ক সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক পরবর্তিতে ১৯৯২ সাল থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। দীর্ঘ ৪৬ বছরের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে তিনি আওয়ামীলীগের একনিষ্ঠ কর্মী, নেতা হয়ে মানুষের পাশে সব সময় ছিলেন। কোন দূর্যোগ কিংবা রক্তচক্ষু তাকে তাঁর অবস্থান থেকে দূরে ঠেলে দেয় নি।

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর সারাদেশে অচলাবস্থা শুরু হয়ে যায়। আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা যে যেভাবে পেরেছে গা ঢাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু এর একদিন পর ১৭ আগস্ট আমরা মরহুম আব্দুল জব্বারের নেতৃত্বে কুলাউড়া আওয়ামীলীগ অফিস থেকে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে হত্যার প্রতিবাদে একটি মিছিল বের করি। মিছিল নিয়ে থানা সম্মুখ থেকে দক্ষিণ বাজারের রাস্থার মুখ পর্যন্ত যেতে পারিনি। পুলিশ আমাদের আক্রমন করে। এক পর্যায়ে মরহুম আব্দুল জব্বার, মরহুম আব্দুল লতিফ খানসহ অনেককেই বন্দি করে পুলিশ। থানায় নিয়ে মরহুম আব্দুল লতিফ খানকে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। ওই একই সময় বাতির মিয়া নামে একজনের মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আমার বাড়ি ঘেরাও করে। ওইসময় আমি প্রায় নয় মাস আত্মগোপনে ছিলাম।  

ওই সঙ্কটকালীন সময় পার করে ৭৬ সালে জহুরা তাজউদ্দিনের নেতৃত্বে আবারও আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু হয়। ওই বছরের শেষের দিকে কুলাউড়া থানা আওয়ামীলীগের কাউন্সিল হয়। ওই কাউন্সিলে আব্দুল লতিফ খানকে সভাপতি এবং আব্দুল জব্বারকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ওই কমিটিতে আমাকে যুব বিষয়ক সম্পাদক মনোনীত করা হয়। এরপর ৮৫ সালে থানা কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। সেই কমিটিতে আগের সভাপতি ও সম্পাদক বহাল থাকলেও তিনি সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মনোনীত হোন। ১৯৯০ সালে পুনরায় সভাপতি ও সম্পাদক এবং তিনি পুনরায় সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হোন। ১৯৯২ সালে দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বার মারা যান। ওই সময় দলের সর্বসম্মতিক্রমে রফিকুল ইসলাম রেনুকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়। এরপর ১৯৯৭ সালে অনুষ্ঠিত দলের কাউন্সিলে তিনি সরাসরি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হোন। সর্বশেষ ২০০৪ সালের কাউন্সিলে তিনি পুনরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হোন। গত ২০১৭ সালে মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামলীগের সদস্য মনোনীত হোন।

২০০৬ সালের এক এগারো পরবর্তি সময় দলের নানা সঙ্কটকালীন সময় তিনি দৃঢ়চিত্তে দলের দায়িত্ব পালন করেন। দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে দলের সভানেত্রীর মুক্তি ও গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য তিনি দূর্বার আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নামেন। কিন্তু তৎকালীন সময় দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও তার অনুসারীরা জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে একাট্টা হয়ে কাজ করেন। নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালানোর সময় তিনি সুলতান সমর্থকদের রোষানলের শিকার হোন। কিন্তু দলের নির্দেশনায় তিনি ছিলেন অবিচল।

দল এবং দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বেফাঁস বক্তব্য প্রদান করতে থাকেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় নেতা সুলতান মনসুর। তখন কুলাউড়া আওয়ামীলীগের অনুপ্রবেশকারী কিছু নেতা দলে দ্বিধাবিভক্তি করার চেষ্টা করতে থাকেন। কিন্তু সব রকম ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সংগঠন পরিচালনা করতে বেশ শ্রম দিতে হয় রফিকুল ইসলাম রেনুর। এক পর্যায়ে তিনি এককভাবে দলের হাল ধরে সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকেন। অনেক তড়াই উৎড়াই পার করে তিনি সংগঠনের কিছু নিবেদিত নেতাকর্মীদের নিয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। সর্বশেষ ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে দলের একসময়কার আওয়ামীলীগ নেতা ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করলে দলের কিছু অনুপ্রবেশকারী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তার পক্ষে কাজ করেন। একইসময় আওয়ামীলীগ জোট থেকে মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর পক্ষে তিনি মাঠে নামেন। দলের নির্দেশ মেনে নৌকা প্রতিক বিজয়ের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন তিনি। তিনি মনে করেন, ‘দলের ভেতরে থাকা অনুপ্রবেশকারী বেঈমানদের কারনে নৌকা এই আসনে পরাজয় বরণ করে।’

তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে ১৯৯৬ সালে উনার নিজ ইউনিয়ন ভুকশিমইলে ‘বঙ্গবন্ধু আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়’ নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি ভুকশিমইল উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের গর্ভণিং বডি’র সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি তিনবার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তাঁর জীবনের সুখকর সময় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জীবনের সবচাইতে আনন্দের দিন ছিলো ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। তখন মনে হয়েছিলে পৃথিবীতে আর কিছু চাওয়ার নেই, সর্বোচ্চ পাওয়া আমরা অর্জন করতে পেরেছি।’

রাজনৈতিক জীবনে শোকাহত দিন সম্পর্কে জানতে তিনি বলেন, প্রথমেই আমি বলবো আমার জীবনের সবচাইতে কষ্টের দিন ছিলো ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। ওই দিন যে কি হারিয়েছিলাম তা ভাষায় বুঝাতে পারবোনা। অনেক কেঁদেছি। মনে হয়েছিলো পৃথিবী অন্ধকার হয়ে গেছে। এছাড়া দ্বিতীয় কষ্ট পেয়েছিলাম আমার রাজনৈতিক নেতা মরহুম আব্দুল জব্বারের মৃত্যুর দিন। ওইদিন মনে হয়েছিলো আমার মাথার উপর ছায়া হারিয়ে ফেলেছি। সর্বশেষ কষ্ট পেয়েছিলাম ২০১৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারী। কুলাউড়ার কাদিপুর ইউনিয়নে যুবলীগের একটি অনুষ্ঠানে তৎকালীন জেলা যুবলীগের সভাপতি (বতর্মান জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক) মেয়র ফজলুর রহমান ফজলু এবং সাধারণ সম্পাদক নাহিদ আহমদের উপস্থিতিতে আমার উপর আক্রমন ছিলো আমার রাজনৈতিক জীবনের এক কলুষিত অধ্যায়। সেদিন ভাগ্যের সহায় আমি বেঁচে গিয়েছিলাম। ওইদিন আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিলো।’

রাজনৈতিক জীবনে সবচাইতে চ্যালেঞ্জিং সময় কোনটা ছিলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মরহুম আব্দুল জব্বারের মৃত্যুর পর কুলাউড়া থানা আওয়ামালীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ শূন্য হয়। তখন আমাকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। আমার কাছে ওই মুহূর্তটি ছিলো চ্যালেঞ্জিং। আমার তখন মনে হয়েছিলো আমি কি পারবো ওই গুরু দায়িত্ব পালন করতে।’

রাজনৈতিক জীবনে সবচাইতে বেশী সহযোগীতা কার থেকে পেয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী (শাহ মমতাজ বেগম) আমাকে সকল কঠিন মুহূর্তে মনোবল যুগিয়েছেন। উৎসাহ দিতেন। এখন পর্যন্ত তিনি আমার পাশে থেকে সব ধরণের সহযোগীতা করছেন। আমি আমার রাজনৈতিক জীবনে আজকের এই পজিশনে আসার পেছনে আমার স্ত্রীর অবদান সবচাইতে বেশী।’

কুলাউড়ার মানুষের প্রতি উনার কোন বক্তব্য আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, জনস্বার্থে আমি আমার জীবন উৎসর্গ করেছি। দল, মতের উর্দ্ধে থেকে ন্যায়-অন্যায় বিবেচনা করে মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। তবে কোন অন্যায়কে কখনো প্রশ্রয় দেইনি, আমৃত্যু দিবো না।’

আগামী ১০ নভেম্বর কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন ও কাউন্সিলে তিনি প্রার্থী হচ্ছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সারাজীবন আওয়ামীলীগ করেছি। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন নিবেদিত কর্মী। পদ থাকুক বা না থাকুক আমি নেত্রী একজন কর্মী হিসেবে দলের কাজ করে যাবো। এবং যদি দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, জেলা নেতৃবৃন্দ ও উপজেলার কাউন্সিলররা মনে করেন আমি দায়িত্ব নেয়ার প্রয়োজন সেক্ষেত্রে আমি প্রার্থী হবো। এবং তাঁরা যে দায়িত্বে আমাকে দিবে আমি সেই দায়িত্ব অতীতের মতো কাজ করার জন্য প্রস্তুত।’#

লেখক : সাংবাদিক
মৌলভীবাজার জেলা।


@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন