আজ শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ইং

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ৭২বছরের অপ্রতিরোধ্য অভিযাত্রা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০১-০৪ ০০:৪৩:০১

মাহবুব আলম :: বয়স বেড়েই চলছে, এক এক করে ৭২টি বছর পার করে এলাম। এই বাংলার স্বাধীনতার ২৩ বছর পূর্বে জন্ম নিয়েছি আমি। বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের জন্য নির্বাচিত দল আওয়ামীলীগও আমার বয়সে ছোট।

১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে চোখ মেলে প্রথম বারের মত পৃথিবীর আলো দেখি। দুনিয়া সেদিন থেকেই আমাকে চিনে, জানে। বাঙালির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান, জাতির জনক, বাংলার স্বাধীনতার মহানায়ক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদরে লালিত নিজের হাতে গড়ে ওঠার বিরল সম্মানের সৌভাগ্য পেয়েছি একমাত্র আমিই।

জন্মের পরপরই ঝাপিয়ে পড়েছি মাতৃভাষার অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে-ভাষা আন্দোলনে। সেই ১৯৫২ থেকে শুরু করে -উল্লেখযোগ্য ভাবে '৫৪তে যুক্তফ্রন্ট এর পক্ষে নির্বাচন ৬২'র শিক্ষা আন্দোলন '৬৬র ছয় দফা দাবী আদায় আন্দোলন '৬৯এর গনঅভ্যূত্থান ৭০এর নির্বাচন সহ সব ধরনের পরিধির প্রগতিশীল আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছি।

এরপর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আমিই ছিলাম অংশগ্রহনকারীদের অন্যতম-অগ্রসৈনিক। নৈতিক আদর্শে উজ্জীবিত ও সংগঠিত সর্বাপেক্ষা বড় শক্তি। অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে বাংলা ও বাঙালির ভাষা দেশের স্বাধীনতা আদায়ের স্বপ্ন পর্যায় থেকে লালন শুরু করে-এ সম্পর্কিত সকল রাজনৈতিক সামাজিক বিষয়ে সমগ্রজাতিকে একত্রিত করে স্বাধীনতার উদ্দেশ্যে পরিচালন, সঠিক দিকনির্দেশন, বাস্তবায়ন সবকিছুতেই প্রতিটা পরতেই শীর্ষনেতৃস্থানীয় ভূমিকা রেখেছি আমি।

স্বাধীনতার লক্ষ্য সফল করে পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক সামাজিক বিষয়ের অধিকার রক্ষার লড়াই জাতিগঠনে অবদান শিক্ষা অধিকার সুনিশ্চিতকরন থেকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের বাংলাদেশ বিনির্মানের সব আন্দোলন সংগ্রাম সফল করা ও সুফল প্রতিটি বাঙালীর দ্বারে পৌঁছে দিতে আমি সর্বজনের অগ্রগন্য, সর্বক্ষেত্রে নেতার আসনে আমিই থাকি।

আজঅব্দি.... গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম, সফলতার পাশাপাশি এক আধটু কালিমা ও আমার আছে। যে কালো আমার ই্বর্ষনীয় অর্জনের তুলনায় যদিও অতি নগন্য তবুও কিছুটা ভূল হয়েছে স্বীকার করে শুধরে নিতে কোন কুন্ঠাবোধ করি না। লিখতে চাইলে লেখা যাবে হাজার হাজার পাতা। দরকার নেই লেখার কারন ইতিহাসে চোখ হাল্কা বুলালেও আমাকে পাবেনই।

আমার প্রতিটি পদ প্রতিমূহুর্তের কার্যক্রম এই বাংলার ইতিহাসে গুরুত্ব সহকারে লিপিবদ্ধ হয়, হবে, হতেই থাকবে। এমন অনন্য, ঐশ্বর্যময় আর রাজকীয় আমার জীবন ইতিহাস। দুনিয়া আগামী হাজার হাজার বছর সমগ্রসৃষ্টির শেষ হওয়া অব্দি আমাকে লিপিবদ্ধ করবে, রাখবে কিংবদন্তীতূল্য শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদায়।

আমার পথচলা কোন না কোন মাধ্যমে সদা বহমান থাকবেই। যার ইতিহাস পথচলার কথা এতক্ষন বললাম তার নাম 'বাংলাদেশ ছাত্রলীগ'। ব্যাক্তি জীবনে আমার মহাসৌভাগ্য হয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাথে নিজের নাম সম্পৃক্ত করার, ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বা অতিনগন্য পরিমানে, মোটকথা একবারই মাত্র লিপিবদ্ধ হয়ে হলেও আমি পৃথিবীর শেষঅব্দি বিদ্যমান ছাত্রলীগের ইতিহাসের অংশ হতে পেরেছি। হ্যাঁ,আমি ছাত্রলীগ কর্মী।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সেই তারুণ্যেরই প্রতীক। সত্য সুন্দরের অভিযাত্রী। অপ্রতিরোধ্য। এ ইতিহাস রচিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে, ৭২ বছর লড়াই করে। অকুতোভয় আত্মবলিদানের মাধ্যমে। সবাইকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী'র শুভেচ্ছা।

লেখক : যুগ্ম আহ্বায়ক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ছাতক উপজেলা শাখা।

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন