আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং
সিলেট :: সালিশ বৈঠকে ছাতক পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান চৌধুরী সজিবের উপর হামলা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় ৯ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত জড়িত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তাদের উদাসীনতাকেই দায়ি করছেন মামলার বাদি।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ৭ মার্চ বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগ নেতা সজিবের পিতা মো. ছালিক চৌধুরী রোকন ১১ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। এরপর থেকে পুলিশ আসামীদের ধরতে অব্যাহত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আসামীরা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় তাদেরকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না।
এজহার সূত্রে জানা যায়, গত ৩ মার্চ রোববার কুমিল্লা ও চাদপুরগামী বাসের যাত্রী ডাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হলে পরদিন ৪ মার্চ সোমবার রাত ৯টায় সালিশ বৈঠকে বসেন স্থানীয় মুরব্বীরা। মামলার আসামীদের উত্তেজিত কথাবার্তায় ওই বৈঠক কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়। বৈঠক থেকে বের হয়ে আসার সময় আসামীরা ছাত্রলীগ নেতা কামরুল হাসান চৌধুরী সজিব, তার সহোদর আল আমিন চৌধুরী জনি, তানজিদ চৌধুরী ও মাসরুহ চৌধুরী রাজিবের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে সজিব ও তার তিন সহোদর উপর্যুপুরি আঘাতে একাধিক স্থানে রক্তাক্ত জখম হন। পরে আশপাশের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। মারাত্মক আহত থাকায় সজিবসহ তিনজনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেলে পাঠায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। আর একজনকে সেখানেই চিকিৎসা দেয়া হয়। গুরুতর আহত হওয়ায় ওইদিন রাতেই সজিবের পাকস্থলিতে ৫ ঘন্টা অস্ত্রপচার করেন চিকিৎসকরা।
এ ঘটনায় আহত ছাত্রলীগ নেতা সজিবের পিতা মো. ছালিক চৌধুরী রোকন বাদি হয়ে ছাতক থানায় হামলা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হলেন, ছাতক পৌরশহরের বাগবাড়ি গ্রামের মো. মাসুক চৌধুরীর পুত্র মো. সাগর চৌধুরী, মৃত আব্দুল খালিকের পুত্র শাহীন চৌধুরী উরফে ক্ষুর শাহীন, ছাতক বাজারের মো. শানুরের পুত্র মো. জুবায়ের আহমদ সাদ্দাম, মন্ডলীভোগের মো. সোনাধনের পুত্র মো. নয়ন মিয়া, মো. সুমন মিয়া, বাগবাড়ির মৃত আব্দুল আজিজের পুত্র মো. মাসুক চৌধুরী, মৃত আব্দুল খালিকের পুত্র মো. ইকবাল মিয়া চৌধুরী ইকু, ছাতক বাজারের মো. শানুর মিয়ার পুত্র মো. মুয়াজ্জের আহমদ, মন্ডলীভোগের ওয়াব আলীর পুত্র মো. রফিকুল ইসলাম সাঈদ, বাগবাড়ির মৃত আব্দুল খালিকের পুত্র মো. শামীম চৌধুরী ও মো. মাসুক চৌধুরীর পুত্র মো. সাকিব চৌধুরী।
বাদি মো. ছালিক চৌধুরী রোকন জানান, তার পুত্র হাসপাতালে এখনো মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। কিন্তু পুলিশ এখনো একজন আসামীকেও ধরতে পারেনি। তাই তিনি সুষ্ঠু বিচারে সন্দিহান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই দেবাশীষ সুত্রধর জানান, ঘটনার পর থেকে আসামীদের বাসাবাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতার করতে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। উপর মহল থেকে আসামীদের দ্রুত ধরতে তাগদা দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিকুর রহমান জানান, অভিযোগ দায়েরের সাথে সাথেই তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। মামলাটি গুরুত্ব সহকারে পরিচালনা করা হচ্ছে। আসামীরা পলাতক থাকতে পারবে না। দ্রুততার সাথেই তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে। এছাড়াও ঘটনার তদন্ত কাজও শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৩ মার্চ ২০১৯/এমএইচবি/ডিজেএস