আজ শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ইং
ছাতক প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের ছাতকে এক যুবতীর রহস্যজনক মৃত্যু ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শহরের হাসপাতাল রোডস্থ মুজিবুর রহমান মালিকানাধিন একটি ভাড়াটিয়া বাসায়। ওই যুবতীর নাম রূপা রানী দাস (১৭)।
রবিবার (২১ এপ্রিল) সকালে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রূপা রানী দাস শহরের হাসপাতাল রোড়ের মুজিবুর রহমানের বাসার ভাঢ়াটিয়া রাসেন্দ্র দাস ওরফে রাসেল চৌধুরীর কন্যা।
স্থানীয়রা জানান, পিতা-মাতা ধর্মান্তরিত হওয়ায় রূপা রানী দাস তার কাকা রিপন দাসের হাসপাতাল রোডের ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাস করতো। ওই বাসাতে থেকেই রূপা একই এলাকার মৃত চমক আলীর পুত্র পাবেল মিয়া নামের এক যুবকের সাথে গড়ে তুলে প্রেমের সম্পর্ক।
বিষয়টি রূপার পরিবারের লোকজন কোনভাবেই মেনে নিতে পারেনি। সম্প্রতি রূপার বিয়ের ব্যাপারে পারিবারিকভাবে আলোচনাও চলছিল।
রবিবার বর পক্ষে লোকজন এসে রূপা বিয়ের দিনক্ষণ ধার্য্য করার কথা ছিল বলে তার পরিবার সূত্রে জানা যায়। শনিবার প্রেমিক পাবেলের সাথে রূপার সাক্ষাতও হয়েছে বলে জানা গেছে।
সকালে রূপাকে বাথরুমের শাওয়ারের সাথে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেয় পরিবারের লোকজন।
ছাতক থানার এসআই দিলোয়ার ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এসময় রূপার শরীরে বেশ কয়েকটি আঘাতের ছিন্ন দেখা গেছে। রূপার লাশটি ঝুলন্ত থাকায় উপস্থিত লোকজনের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। রূপার পা ভুমির সাথে হাটু ভাঙ্গ অবস্থায় ছিল এবং শরীরের কাপড়চোপড়ও ছিল অনেকটাই পরিপাটি।
বিষয়টিকে অনেকেই পরিকল্পিত হত্যা বলে মনে করছেন।
এসময় পৌরসভার প্যানেল মেয়র তাপস চৌধুরী, মহিলা কাউন্সিলর মিলন রানী দাস, উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি লায়েক মিয়াসহ লোকজনের উপস্থিতিতে লাশ মর্গে পাঠায় পুুলিশ।
রূপা পরিবারের লোকজন জানান, রূপার মৃত্যুর সংবাদে পাবেল গা ঢাকা দিয়েছে।
রূপার মৃত্যুর জন্য প্রেমিক পাবেলই দায়ী। পাবেলের মানসিক নির্যাতনের জন্যই রূপা আত্মহত্যা করেছে বলে তারা মনে করেন।
ছাতক থানার ওসি আতিকুর রহমান জানান, ময়নাতদন্ত ছাড়া কোন কিছুই বলা যাবে না।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২১ এপ্রিল ২০১৯/এমএ/পিডি