আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং
নিজস্ব প্রতিবেদক, জগন্নাথপুর :: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সরকারি মডেল জামে মসজিদের নির্মাণ কাজের শুরুতেই অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ এলাকায় গত এপ্রিল মাস থেকে উপজেলা মডেল মসজিদের কাজ শুরু হয়। গণপূর্ত বিভাগের অধীনে ১১ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে মডেল মসজিদের কাজ পায় ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্টার লাইট সার্ভিস। প্রথমে মসজিদ নির্মাণের স্থানে মাটির নিচে ৫০ ফুট লম্বা ১৭০টি পাকা পিলার ঢুকিয়ে ফাইলিং করার কাজ চলছে। ফাইলিং কাজ শেষ হলে নির্মাণ কাজ শুরু হবে। তবে ফাইলিং কাজেই অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, ফাইলিং করা পিলার মাটির নিচে ঢুকিয়ে অবশিষ্ট ৫ থেকে ১০ ফুট উপরে থাকছে। উপরে থাকা এসব অবশিষ্ট অংশ ভেঙে ফেলা হচ্ছে। যেখানে ৫০ ফুট ফাইলিং করার কথা, সেখানে ৪০ থেকে ৪৫ ফুট করা হচ্ছে।
এব্যাপারে প্রজেক্টের নিজস্ব প্রকৌশলী নৃপেন দাসের সাথে আলাপ হলে তিনি জানান, নিচে থাকা মাটি শক্ত হওয়ায় পুরো পিলার ঢুকানো যাচ্ছে না। যে কারণে অবশিষ্ট অংশ ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এখানে ৩৫ থেকে ৪০ ফুট পিলার ফাইলিং করা উচিত ছিল। তবে শক্ত মাটির করানে ফাইল গুলো নিচে নামছে না। অন্য দিকে নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার, বালির সাথে মাটি ও ময়লা যুক্ত পাথর না ধুয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন।
উপজেলা নাগরিক অধিকার ফোরামের যুগ্ম আহবায়ক ঠিকাদার নূরুল হক বলেন, আল্লাহর ঘর মসজিদের নির্মাণ কাজে কোনো অনিয়ম ও দুনীর্তি গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
এলাকাবাসীর দাবি বিশাল বরাদ্দের এই মডেল মসজিদটি যাতে প্রাক্কলন অনুযায়ী উন্নতমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে করা হয়। কাজ যেন টেকসই, মজবুত ও সুন্দর হয় এটাই এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি।
এব্যাপারে বৃহস্পতিবার বিকেলে সুনামগঞ্জ গনপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলী এনামুল হকের সাথে আলাপ হলে তিনি মসজিদের নির্মাণ কাজের অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা সবসময় কাজের তদারকি করছি। এখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই। তবে তিনি বলেন অধিকাংশ ফাইলই ৫০ ফুট মাটির নিচে দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি ফাইল মাটি শক্ত থাকায় ২-৩ ফুট করে ভেঙে ফেলা হয়েছে।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/০৬ ডিসেম্বর ২০১৯/এসএইচএস/এসডি